খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শিক্ষা ছুটি নিয়ে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া ৩৪ জন শিক্ষক কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এসব শিক্ষক মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি ও পোস্টডক্টরাল পর্যায়ের ডিগ্রি অর্জনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে তারা কর্মস্থলে যোগ দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় বলা আছে, দুই বছর চাকরির পর শিক্ষকরা এক বছরের স্ববেতন শিক্ষা ছুটি নিতে পারেন। এই ছুটি মাস্টার্স ও এমফিলের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছর এবং পিএইচডির ক্ষেত্রে সাত বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। তবে সাত বছর অতিক্রম করার পরও যদি কেউ ফিরে না আসেন, তাহলে তাদের চাকরি বাতিল হওয়ার কথা যা বাস্তবে অনেকক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহযোগী অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষকের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক মান হলেও আমরা সেটি পূরণ করতে পারছি না। শিক্ষক সংকটে এই অনুপস্থিতি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ছুটি শেষে চিঠি পাঠিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ ফিরে আসেন, কেউ কেউ আর আসেন না। তবে তারা ফিরতে না চাইলে প্রশাসনের হাতে করার মতো কিছু থাকে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষক সংকটের এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। নীতিমালার বাস্তবায়নে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও নজরদারির ঘাটতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষকরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটি নেওয়ার পর দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে শিক্ষার মান, গবেষণা ও একাডেমিক পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :