মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইউরোপে সমালোচনার ঝড়

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেইরো। ছবি- সংগৃহীত

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেইরো। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে স্বাক্ষরিত নতুন মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি ইউরোপের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) স্কটল্যান্ডে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব ইউরোপীয় রপ্তানির উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ফলে ট্রাম্পের ঘোষিত ১ আগস্টের ৩০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কের হুমকি এড়ানো গেলেও ইইউর প্রস্তাবিত শূন্য-শূন্য শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপীয় পণ্যের গড় শুল্ক ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, যা এ চুক্তির মাধ্যমে তিনগুণেরও বেশি হবে। ইস্পাতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক, বিমান খাত ও ওষুধ রপ্তানির ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেইরো চুক্তিকে ‘ইউরোপের আত্মসমর্পণ’ বলে মন্তব্য করে ইউনিয়নের জন্য “কালো দিন” আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ বলেছেন, এটি সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ ঠেকাতে সহায়তা করেছে। তবে জার্মান রপ্তানিকারক সংগঠনগুলো চুক্তিকে ‘নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে’ বলে সতর্ক করেছে।

অটোমোবাইল খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মানির গাড়ি শিল্প সংগঠন ভিডিএ জানিয়েছে, একটি কাঠামোতে সম্মতি ইতিবাচক হলেও ১৫ শতাংশ শুল্ক ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর রূপান্তরের সময় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।

চুক্তির ঘোষণার পর সোমবার (২৮ জুলাই) ইউরোপীয় শেয়ারবাজার কিছুটা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়; জার্মানির ড্যাক্স সূচক ০.৮৬% এবং ফ্রান্সের ক্যাক ৪০ সূচক ১.১% বেড়েছে। তবে ব্যাংকিং খাত চুক্তিটিকে ট্রাম্পের বিজয় হিসেবে দেখছে।

জার্মান ব্যাংক বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার স্মিডিং বলেন, ‘এই শুল্কবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ উভয়ের ক্ষতি করবে, তবে ইউরোপের ক্ষতি পূর্বনির্ধারিত’। ইতালীয় ব্যাংক ইউনিক্রেডিটও চুক্তিকে “অসামঞ্জস্যপূর্ণ” বলে মন্তব্য করেছে।

ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন স্বীকার করেছেন, ‘১৫ শতাংশ হারকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, কিন্তু পরিস্থিতির জন্য এটিই সেরা সমাধান।’ ইস্পাত খাতে শুল্ক কমানোর জন্য ইইউর প্রচেষ্টা চললেও যুক্তরাষ্ট্র আপাতত বর্তমান হার বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তিটি অনিশ্চয়তা কিছুটা দূর করলেও ইউরোপীয় শিল্পের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

Shera Lather
Link copied!