ব্যয় সংকোচন নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ছোট করা হচ্ছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপি থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার নির্ধারণ করা হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
তবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে এই অঙ্ক ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার আরও কম নির্ধারণের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে নানা রকমের প্রেশার আর তদবিরের কারণে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিতে বাধ্য হতে হয়।
কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর সে রকম কোনো প্রেশার নেই। ফলে এই সরকারের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর প্রয়োজনীয় প্রকল্পেও অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তাই এসব বিবেচনায় এডিপির আকার এমনিতেই ছোট হয়ে যাবে। তাই অযথা আকার বড় করার প্রয়োজন নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বাজেট কাটছাঁট করার বিষয়টি সরকারের একটি ভালো সিদ্ধান্ত। গত সরকারের প্রণীত বাজেটে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাজেটকে চাপে ফেলেছে।
এটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিতে হবে। বিলাসী বিদেশ ভ্রমণ বাদ দিতে হবে। সরকার সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও তিনি বলেন।
সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে এডিপির আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে তা ছোট-বড় করার সুযোগ রয়েছে। তবে খুব একটা পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর এবার উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যাও কমে যাবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন কাজ করছে। ঈদের পর কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় মোটামুটিভাবে সব চূড়ান্ত হবে। এরপর বাজেট উপস্থাপনের আগ পর্যন্ত কিছু সংযোজন বিয়োজন হতে থাকবে।
চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই হার ছিল ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ অগ্রগতি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করতে পেরেছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছর খরচ হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আগের অর্থবছরের হিসাবগুলো হলো সংশোধিত এডিপির। আর চলতি অর্থবছরের হিসাবটি হলো মূল এডিপির। সুতরাং এডিপি সংশোধন করা হলে আকার ছোট হবে। ফলে বাস্তবায়ন হার বেড়ে যাবে।
অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার কমানো হয়েছে। তবে এবার সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। ফলে সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়াল ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর আগে কখনো এডিপি এতটা কাটছাঁট করা হয়নি।
সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৭। মূল এডিপির বাইরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন খরচ বাবদ ১০ হাজার ১২৬ কোটি টাকা করা হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে এডিপির আকার দাঁড়াল ২ লাখ ২৬ হাজার ১২৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাক্সিক্ষত হারে বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর আকার কমানো হয়। সংশোধিত এডিপি প্রণয়ন করতে গিয়ে দেশীয় উৎসের অর্থ কমেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সহায়তা কমেছে ১৯ হাজার কোটি টাকা।
এখন সংশোধিত এডিপিতে দেশীয় উৎসের অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি এবং বিদেশি সহায়তা ধরা হয়েছে ৮১ হাজার কোটি টাকা।
অন্যবারের মতো এবারও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ কমানো প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষার অনেক প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, তাই বন্ধ করে দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা খাতেও বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
এই দুই খাতেই দুর্নীতির প্রমাণ আমরা পেয়েছি। ফলে অনেক প্রকল্প আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এবার সংশোধিত এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এ খাতে এখন বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
জানা গেছে, এডিপির আওতায় নেওয়া প্রকল্পগুলো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাটছাঁটের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেতে যাচ্ছে মেগা প্রকল্প এবং গোষ্ঠী স্বার্থের প্রকল্পগুলো। কারণ জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
সংশোধিত এডিপিতে মোটাদাগে শীর্ষ পাঁচটি খাত পেয়েছে ৬৩ শতাংশের বেশি অর্থ। এর মধ্যে বরাদ্দের দিক থেকে শীর্ষে আছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে বরাদ্দ ৪৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা, যা প্রস্তাবিত সংশোধিত এডিপির ২২ শতাংশের বেশি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৩১ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা, যা সংশোধিত এডিপির প্রায় ১৫ শতাংশের মতো। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা বা সংশোধিত এডিপির সাড়ে ৯ শতাংশ বরাদ্দ মিলেছে শিক্ষা খাতে।
এ ছাড়া গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ১৯ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ ১৬ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক টাকাও খরচ করতে পারেনি ৮৯ প্রকল্প। অন্যদিকে ১ শতাংশও কাজ হয়নি ১২১ প্রকল্পে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের বাজেট কাটছাঁট করতে গিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে আরও সাশ্রয় করা সম্ভব হলেও ঋণের সুদ পরিশোধ, বিক্ষোভে হতাহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং অবকাঠামো মেরামতের জন্য বাড়তি ব্যয় দরকার হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি বন্ডে উচ্চ সুদের হার (১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত) এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি এর প্রধান কারণ।
চলতি বছরের ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের পর অর্থবছরের এক মাস আট দিনের মাথায় ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ঠিকাদারেরা কাজ বন্ধ করে দেন এবং বিদেশি অনেক ঠিকাদার দেশ ছেড়ে চলে যান। সেপ্টেম্বরে কিছু প্রকল্প পুনরায় শুরু হলেও অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে চার বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করছে।
এছাড়া বাজেট ঘাটতি অর্থায়নের জন্য সরকার ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরের উৎস- যেমন সঞ্চয়পত্র ও ট্রেজারি বিলকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলেও জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে পারবে না এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে।
ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এদের অধীন বিভিন্ন দপ্তর স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে সংশোধিত বাজেটের প্রাক্কলন অর্থ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে আরও বলা হয়, ভূমি অধিগ্রহণ খাতে পরিচালন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ-সংক্রান্ত গত ৪ জুলাই অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
তবে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণও বন্ধ থাকবে। উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেটের আওতায় মোটরযান, জলযান, আকাশযানসহ সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে।
কিন্তু পরিচালন বাজেটের আওতায় ১০ বছরের বেশি পুরোনো যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে অর্থ ব্যয় করা যাবে। পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণকাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে।
এদিকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নির্দেশে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প সংখ্যা সীমিত রাখা, মূল সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দহীন কোনো প্রকল্প না রাখা, সরকারের কৌশলগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আলোকে অগ্রাধিকার বাছাই করে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দেওয়ার নির্দেশনা।
এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাতিল করা হবে। সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিতে হবে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের জন্য নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বাজেটের আকার কমবে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাজেট বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করে। এর মধ্যে এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের বাজেটেই ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা অব্যবহৃত ছিল।
 

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন