আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।
শুধু গ্রুপ পর্বেই নয়, দল দুটি সুপার ফোরে উঠলে ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনকি ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালেও দেখা যেতে পারে এই দুই পরাশক্তির।
কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এক দশকের বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে বিরত থাকা সত্ত্বেও মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে তাদের নিয়মিত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।
এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণার পর থেকেই এই আলোচনা তুঙ্গে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থে ভারত-পাকিস্তানকে প্রায়ই একই গ্রুপে রাখে, যা গতকাল প্রকাশিত এশিয়া কাপের সূচিতেও দেখা গেছে।
অথচ পেহেলগাম হামলার জেরে যখন দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন ভারতের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার এবং খোদ বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানের বিপক্ষে এসিসি ও আইসিসি টুর্নামেন্টে না খেলার কথা বলা হয়েছিল। দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলতেই ভারতের সম্মতি মিলেছে।
তবে ৬২ বছর বয়সি আজহারউদ্দিন এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন। বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমার অবস্থান স্পষ্ট যে, আপনি যদি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে না খেলেন, তাহলে অন্য টুর্নামেন্টেও খেলার প্রয়োজন নেই।
এসিসি ও আইসিসি ইভেন্টে ভারতের পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা উচিত নয়। তিনি আরও যোগ করেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যেহেতু সরকার ও বিসিসিআই নেয়, তাই এখানে কিছু বলার থাকে না।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করে ভারত। অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদের এই বিনোদনমূলক টুর্নামেন্টে শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিকদের বিপক্ষে খেলতে রাজি হননি শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, ইরফান পাঠানরা।
আজহারউদ্দিনকে এ বিষয়ে মনে করিয়ে দিলে তিনি ব্যাখ্যা করেন, দেখুন, সাবেকদের নিয়ে আয়োজিত লিগটি আনুষ্ঠানিক কোনো টুর্নামেন্ট নয়।
সেখানে আইসিসি বা বিসিসিআইয়ের অনুমোদনের দরকার পড়ে না। এটি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত হয়। কিন্তু এশিয়া কাপ পরিচালনা করে এসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বোর্ডগুলোই সিদ্ধান্ত নেয়।
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত হলেও, পাকিস্তান ভারতে দল পাঠাতে রাজি না হওয়ায় বিসিসিআই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই আসর সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করছে।
আগামী ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে আট দলের টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে।