শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে এমনই এক অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ দল।
খেলার শুরুটা ভালো হলেও মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে ৯ উইকেট হারিয়ে পুরো দল গুটিয়ে যায় ১৬৭ রানে। ফলে ২৪৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে না পেরে বাংলাদেশ হেরে যায় ৭৭ রানে। মিরাজের নেতৃত্বে নতুন যাত্রা শুরু করা দলের জন্য এটি ছিল এক বড় ধাক্কা।
লঙ্কানদের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০০ রান। তাতে মনে হচ্ছিল, সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে টাইগাররা। তবে দলীয় শতকের পরেই হঠাৎ ছন্দপতন। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে মাত্র ৫ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
ম্যাচ শেষে বুধবার (২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসে হতাশা লুকাতে পারেননি পেসার তাসকিন আহমেদ। তার কণ্ঠে ছিল বিস্ময় আর আক্ষেপ, ‘অবশ্যই এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি। আমরা তখন চিল করছিলাম, কফি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি পাঁচটা উইকেট পড়ে গেছে। পুরো চিত্রটাই যেন এক মুহূর্তে বদলে গেল।’
তবে হারের হতাশায় ভেঙে পড়তে রাজি নন তাসকিন। বরং দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে। ‘আমরা চাই ভালো খেলতে। সমর্থকরাও সেটা চায়। এমন হারের পর কেউই হোটেলে গিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। আমরা সবাই কষ্ট পাচ্ছি,’ বলেন তাসকিন।
দুঃখ প্রকাশ করে এই পেসার বলেন, ‘সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এমন একটি সহজ ম্যাচ আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে গেছি। তবে আমরা লড়াই থামাব না। সব সমস্যা কাটিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
বাংলাদেশের সামর্থ্য নিয়ে কেউ যেন সন্দেহ না করে, সে বার্তাও দেন তাসকিন। ‘আপনারা জানেন, আমরা কেমন দল। আমরা যেমন উইকেট হারিয়েছি, সেটা আমাদের সামর্থ্যের পরিচয় নয়। আমরা খারাপ দল না- আমাদের মধ্যে ভালো খেলার ক্ষমতা রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
সিরিজে টিকে থাকতে হলে এখন আর কোনো ভুলের সুযোগ নেই। আগামী ৫ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। সেটিই হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য অঘোষিত ফাইনাল। হেরে গেলে হাতছাড়া হয়ে যাবে সিরিজটিও। এবার দেখা যাক, তাসকিনদের সেই সামর্থ্য কতটা জ্বলে ওঠে।