২০২৫ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগের আসরের চেয়ে এবার প্রাইজমানি বেড়েছে ৪ গুণ, যা নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিশাল মাইলফলক।
এই বছরের শেষদিকে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের জন্য মোট ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা) পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এটি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি, ১০ মিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। এই অভূতপূর্ব আর্থিক বৃদ্ধি নারী ক্রিকেটের প্রতি আইসিসির প্রতিশ্রুতি এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের আশাবাদকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ এই উদ্যোগকে নারী ক্রিকেটের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
কে কত টাকা পাচ্ছে?
এই বিশ্বকাপে টাকার ছড়াছড়ি থাকছে সব দলের জন্যই। পুরস্কারের ভাগগুলো নিচে দেওয়া হলো:
চ্যাম্পিয়ন দল: সবচেয়ে বেশি ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫৪ কোটি টাকা) পাবে।
রানার্সআপ দল: রানার্সআপ দলও বিশাল অঙ্কের ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ কোটি টাকা) পাবে।
সেমিফাইনালে বাদ পড়া দল: সেমিফাইনালে পৌঁছে বাদ পড়া প্রতিটি দল পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার করে।
গ্রুপ পর্বের বিজয়ী: গ্রুপ পর্বের প্রতিটি জয়ের জন্য দলগুলো পাবে অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার করে।
অংশগ্রহণকারী সব দল: টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই ন্যূনতম ২.৫ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি টাকা) পাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ নারী দল কোনো ম্যাচ না জিতলেও এই বিশাল অঙ্কের টাকা নিশ্চিতভাবে পাবে।
এ ছাড়া, গ্রুপ পর্বে ভালো পারফর্ম করা দলগুলোর জন্যেও রয়েছে আর্থিক পুরস্কার। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল পাবে ৭ লাখ ডলার করে, আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দল পাবে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে।