সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আফগানিস্তানের ৩০ ‘জঙ্গি’কে হত্যা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাক সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ জন ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে একই অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়।
পাক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েকদিন রাত অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গতিবিধি শনাক্ত করা হয়। তারা আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। গোয়েন্দা তথ্য ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সেনারা সফলভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২৮ জুন উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ওই অঞ্চলে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। পাকিস্তানি তালেবান, অর্থাৎ নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর একটি অংশ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার পরপরই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়ায় নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে টিটিপির যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে প্রায় প্রতিদিনই নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে টিটিপি।
সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে সব ধরণের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও সেনাবাহিনী, উভয়ের বিবৃতিতেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সহিংসতা উস্কে দেওয়া এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারত এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :