ফুটবল ইতিহাসে যারা কিংবদন্তির মর্যাদা পান, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তাদের অন্যতম। প্রায় দুই দশক ধরে বিশ্বফুটবলের আকাশ আলোকিত করে চলা পর্তুগিজ সুপারস্টার জিতেছেন অগণিত ট্রফি, রেকর্ড আর ব্যক্তিগত পুরস্কার।
রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস কিংবা আল-নাসর—যেখানেই খেলেছেন, গড়ে তুলেছেন মাইলফলক। তবু একটি স্বপ্ন এখনও অপূর্ণ—বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন।
৪০ বছর বয়সেও মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। তবে সম্প্রতি বিশ্বমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে রোনালদো জানিয়ে দিয়েছেন—২০২৬ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো বিশ্বকাপের শেষেই ঝুলিয়ে দেবেন বুট। অর্থাৎ ওই আসরই তার আন্তর্জাতিক ফুটবলে শেষ ম্যাচ।
সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে রোনালদো বলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের সময় আমি ৪১ বছরে চলে যাব। সেটাই হবে শেষ চেষ্টা। ঐ আসরের পর ফুটবলকে বিদায় জানাবো…যদি সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চলে।
রোনালদো আরও বলেন, অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয় এবং সময়-পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তনও হতে পারে। আমি শুধু মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই, ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে চাই।
ইউরো ২০১৬ আর নেশন্স লিগ—পর্তুগালের ইতিহাসে প্রথম বড় ট্রফি এনে দিয়েছেন রোনালদো। তার দেশই শুধু নয়, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ তাকে ‘জয়ী মানসিকতা’র প্রতীক হিসেবে দেখে। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের অভাব তাকে সেই পরিপূর্ণতার দেয়াল ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত করেছে।
রোনালদোর অবসর মানে বিশ্ব ফুটবলে এক মহাকাব্যের সমাপ্তি। মেসি–রোনালদোর আধিপত্যে ফুটবল দেখেছে সবচেয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যে তুলনা হয়তো আর কখনো দেখা যাবে না। গোল, রেকর্ড, ট্রফি—সবকিছুই নিজেদের মধ্যে ছিনিয়ে নেওয়ার এক দীর্ঘ রোমাঞ্চকর অধ্যায়।
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, রোনালদো এখনো শারীরিকভাবে ফিট এবং গোলস্পর্শ আগের মতোই ধারালো। পর্তুগাল স্কোয়াডও তরুণ, গতিময়—২০২৬ বিশ্বকাপ হতে পারে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে নাটকীয় পরিণতি।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন