নারী অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রূপান্তরিত নারী, অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোন ও জেনেটিক বৈচিত্র্যের অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন সংস্থা। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর টোকিওতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ইচ্ছুক নারী অ্যাথলেটদের ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেনেটিক পরীক্ষার জন্য নাম নিবন্ধন করতে হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে তারা জৈবিকভাবে নারী কি না।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস জানিয়েছে, এই ক্রোমোজম পরীক্ষা জীবনে একবারই দিতে হবে। এতে দেখা হবে অ্যাথলেটদের শরীরে পুরুষদের বৈশিষ্ট্য বহনকারী ওয়াই ক্রোমোজম (SRY জিন) আছে কি না। ফল পাওয়া যাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে এবং এই পরীক্ষায় ফলস পজিটিভ বা নেগেটিভের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাস্টার সেমেনিয়া ৮০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতার পর থেকে শুরু হয় এই বিতর্ক। তার টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা ছিল স্বাভাবিক নারীর চেয়ে অনেক বেশি। ফলে তাকে লিঙ্গ পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। পরে ২০১৮ সালে ডিএসডি (Differences of Sexual Development) অ্যাথলেটদের জন্য টেস্টোস্টেরোন কমানোর ওষুধ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
কিন্তু সেমেনিয়া সেই ওষুধ নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের নিয়মের বিরুদ্ধে আদালতে যান। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালত তার পক্ষে রায় দিলেও, বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের নতুন জিন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত তা বাতিল করেনি।
এদিকে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নারীদের প্রতিযোগিতায় ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশ নিতে দেবে না আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস জানিয়েছে, এই পরীক্ষার জন্য প্রতি অ্যাথলেটের সর্বোচ্চ ১০০ ডলার খরচ সংস্থাই বহন করবে। সংস্থার সভাপতি সেবাস্টিয়ান কো বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, শীর্ষ পর্যায়ের নারী ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে চাইলে, আপনাকে জৈবিকভাবে নারী হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :