ভূমিকম্পের আতঙ্ক এখন ঢাকাসহ গোটা দেশে। গত ২১ নভেম্বর ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার পর দুই সপ্তাহে অন্তত পাঁচটি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটেও দেশে ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো নরসিংদীর শিবপুরে।
এ অবস্থায় এদিন সকালে আবহাওয়াবিদ মো. রুবায়েত কবির গণমাধ্যমকে জানান, আজকের ভূমিকম্পটি ছিলো সহনীয় মাত্রার। সামনে এমন আরও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে এখন থেকেই রাজধানীসহ গোটা দেশের মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মো. রুবায়েত কবির আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
গত ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। এতে বিভিন্ন ভবনে ফাটল ধরে এবং ১১ জনের প্রাণহানী হয়।
২২ নভেম্বর জেলার পলাশ ও মাধবদীতে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২৭ নভেম্বর পলাশের ঘোড়শালে ৩ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ওই দিনই ভোরের দিকে সিলেটে ও কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়।
এরপর সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার দিনগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে অনেকেই ভূমিকম্প হওয়ার টের পান। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে প্রায় প্রতিদিনই স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।

