ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ শুধু বাণিজ্যিকভাবেই প্রভাব ফেলবে না প্রভাব ফেলবে ২২ গজেও। ইতিমধ্যেই হামলা-পাল্টা হামলার জেরে সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে। দু-দেশের এমন পরিস্থিতি প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠৎা করেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে মিসাইল হামলা করে ভারত এরপরই শুরু হয় দু দেশের মধ্যে যুদ্ধ। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয় সাথে সাথেই। দু’পক্ষের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা এখন চরমে।
ভিবিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই সংঘাতে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাক-ভারত ক্রিকেটীয় সম্পর্কও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
যুদ্ধাবস্থার কারণে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত ক্রীড়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা বন্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন এশিয়া কাপের (প্রস্তাবিত ভেন্যু আরব আমিরাত, সম্ভাব্য শুরুর তারিখ ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর) ওপর।
ভারত আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার নীতিতে অটল ছিল। সরাসরি যুদ্ধের পর সেই সম্ভাবনা এখন জিরোর কোটায়। এদিকে দু-দেশের এই যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগতে পারে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সূচি অনুযায়ী, আগামী মে মাসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা। সেখানে ২৫ ও ২৭ মে ফয়সালাবাদে এবং ৩০ মে ও ১ ও ৩ জুন লাহোরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
এরপর আবার আগস্টে ভারত ক্রিকেট দল বাংলাদেশে এসে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার সূচিও চূড়ান্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর এবং ভারতের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
পাক-ভারত যুদ্ধে যে প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটে
আগামী মে মাসেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা। সূচিও চূড়ান্ত। আগামী ২৫ ও ২৭ মে ফয়সালাবাদে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা। তারপর ৩০ মে এবং ১ ও ৩ জুন লাহোরে বাকি তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে।
এরপর আগামী আগস্টে বাংলাদেশ সফরের সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে ছিল ভারতের। এই সফরে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে ওই দুই সিরিজের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে বাংলাদেশের পাকিস্তান গিয়ে খেলা এবং ভারতের বাংলাদেশ সফরের প্রশ্নই আসে না। যুদ্ধ বন্ধ হয়ে শান্তি ফিরলেই কেবল ওই দুই সিরিজ মাঠে গড়াতে পারে।
কিন্তু এদিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি ঘোলাটে। ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের সম্ভাবনা খুব কম। খুব স্বাভাবিকভাবে ওই দুই সিরিজ থেকে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিবি। বিশেষ করে ভারতের সফর বাতিল হলে সম্প্রচারস্বত্ব ও নানা স্পন্সর বাবদ মোটা অংকের অর্থ ক্ষতি হবে বিসিবির।
এমন পরিস্থিতিতে যা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
যুদ্ধ ও বিসিবির ভাবনা নিয়ে বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও উত্তেজনা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে না বিসিবি। এমন পরিস্থিতিতে বিসিবি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বনের পক্ষে।
তবে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশের ক্রিকেট সূচি এবং আর্থিক দিক উভয় ক্ষেত্রেই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।