কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনা চলছে, সেই সময়েই দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান।
সোমবার (৫ মে) পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ‘ফাতাহ’ নামের একটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১২০ কিলোমিটার এবং এটি চলমান সামরিক মহড়া ‘এক্স ইন্ডাস’-এর অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগে, ৪৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ‘আবদালি’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ‘সিন্ধু’ নামক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণ হয়।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া বিভাগ আইএসপিআর জানায়, ‘ফাতাহ’র পরীক্ষার লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির নতুন প্রযুক্তি যেমন উন্নত ন্যাভিগেশন ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা পরীক্ষা করা।
এ উৎক্ষেপণের সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কৌশলগত সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। পরে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান ও সেনাপ্রধান সবাইকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ‘ফাতাহ’ সিরিজের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের কৌশলগত অস্ত্রভাণ্ডারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন। এটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগেও পাকিস্তান ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ফাতাহ-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল, যা এখন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ইউনিটে যুক্ত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শনের কৌশলগত একটি বার্তা।