চীনে নির্মিত জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কূটনৈতিক সূত্র। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা চীনের সামরিক প্রযুক্তির অগ্রগতি ও প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিশ্বখ্যাত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘পাকিস্তান তাদের কাছে থাকা চীনা জে-১০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের যুদ্ধবিমানের ওপর আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, এই সংঘর্ষ কেবল ভারত-পাকিস্তান সীমিত উত্তেজনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা চীনের আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির কার্যকারিতা ও আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তারের একটি বাস্তব পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশেষ করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সামরিক শক্তি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
রয়টার্সের অপর একটি সূত্র জানায়, ভূপাতিত হওয়া বিমানগুলোর মধ্যে একটি ছিল ফ্রান্সে তৈরি রাফাল, যা ভারতীয় বিমানবাহিনীর অন্যতম আধুনিক ও সক্ষম যুদ্ধবিমান। তবে এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। দিল্লি ও ভারতীয় বিমানবাহিনী মুখ বন্ধ রেখেছে।
রয়টার্স আরও জানায়, ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলোও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে, ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র যুক্তরাষ্ট্রের এক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, রাফাল ভূপাতিত হওয়ার তথ্য তারা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফের দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, ‘পাকিস্তানি পাইলটদের চালিত জে-১০ যুদ্ধবিমান তিনটি রাফালকে আকাশেই গুলি করে ভূপাতিত করেছে।’
এর আগে পাকিস্তান সরকার দাবি করেছিল, তারা মোট পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান- রাফাল ও জে-১০, উভয়ই চতুর্থ প্রজন্মের উন্নত মানের বিমান। এই দুয়ের সংঘর্ষ ভবিষ্যৎ আকাশযুদ্ধের ধরন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।