আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক লিখিত বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রুবিও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এখন আর নিরপেক্ষ নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তারা ভুলভাবে দাবি করছে, তাদের এমন সীমাহীন ক্ষমতা আছে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো তদন্ত ও বিচার চালাতে পারে। এই বিপজ্জনক দাবি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।’খবর রয়টার্সের।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চার বিচারক হলেন- উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ দেল কারমেন ইবানেজ কারাঞ্জা, বেনিনের রেইন অ্যাডিলেডের সোফি আলাপিনি গানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোহলার।
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব বিচারকের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পত্তি ও সম্পদ অবরুদ্ধ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব বিচারকের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত হতেও নিষেধ করা হয়েছে। এই লেনদেনের মধ্যে অর্থ, পণ্য বা সেবা প্রদানও অন্তর্ভুক্ত।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আইসিসি একটি বিবৃতি জারি করে। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে আইসিসি বলছে, তারা তার বিচারকদের পাশে রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই পদক্ষেপগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২৫টি রাষ্ট্রপক্ষের ম্যান্ডেটের অধীনে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা। জবাবদিহিতার জন্য যারা কাজ করছে, তাদের লক্ষ্যবস্তু বানালে সংঘাতের ফাঁদে আটকে থাকা সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় না। বরং, আগ্রাসী শক্তিতে আরও সাহস জোগায়। শাস্তির ভয় ছাড়া যেকোনো কিছু তারা করতে পারে—এমন অভয় দেওয়া হয় তাদের।’
এদিকে, চার বিচারকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেই সঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতিতে আদালতকে ‘সম্পূর্ণ সমর্থন’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংগঠনটি।
আপনার মতামত লিখুন :