ইসরায়েলের চলমান আক্রমণের মধ্যে শুক্রবার (২০ জুন) ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে। যদিও ইউরোপ চেষ্টা করছে তেহরানকে আবার আলোচনার টেবিলে আনতে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনা করছে এই সংঘাতে তারা কোনোভাবে জড়িত হবে কি না।
ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের এক সপ্তাহ পর তেল আবিব জানিয়েছে, তারা রাতারাতি কয়েক ডজন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র, তেহরানে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে জড়িত একটি গবেষণা সংস্থা এবং পশ্চিম ও মধ্য ইরানের সামরিক স্থাপনা।
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের বেয়ারশেবা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুরুতে তেল আবিব, নেগেভ ও হাইফা এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর পাওয়া যায়। কয়েক ঘণ্টা পর আরও হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সর্বশেষ হামলায় প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা অনুসারে কমপক্ষে দুইজন আহত হয়েছে।
ফারস বার্তা সংস্থা ইরানের একজন সামরিক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় সামরিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা শিল্প এবং কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে দূরপাল্লার এবং অতি-ভারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কাতারের এক শিল্পসূত্র ও এক কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে, ইরান বা উপসাগরের অন্য কোনো স্থানে জ্বালানি স্থাপনায় হামলার আশঙ্কায় সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে—এমন উদ্বেগ থেকেই কাতার এই সপ্তাহে বিভিন্ন জ্বালানি প্রধানদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :