আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আফগান ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে এসব মৃত্যু ও আহতের ঘটনা ঘটে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক (এক্স) পোস্টো জানিয়েছে, ‘আজ ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ শুরু করে, এতে ২০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।’
তিনি আরও দাবি করে পোস্টে লেখেন, তালেবান বাহিনী বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেছে, তাদের পোস্ট ও ঘাঁটি দখল করেছে এবং সামরিক সরঞ্জাম জব্দ ও ধ্বংস করেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সংঘর্ষের জন্য তালেবানকেই দায়ী করেছেন। বেলুচিস্তানের চামান জেলার আঞ্চলিক প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বাঙ্গুলজাই বলেন, ‘তালেবান বাহিনী চামান সংলগ্ন একটি পাকিস্তানি পোস্টে আক্রমণ চালায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে লড়াই চলে এবং পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি ভূখণ্ডে চারজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে ২,৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে প্রায়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তবে ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা নেওয়ার পর, সাম্প্রতিক লড়াইকে অন্যতম গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ, ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো জঙ্গিরা আফগানিস্তান থেকে আশ্রয় নিচ্ছে। অন্যদিকে, তালেবান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সহায়তা করে না।
সংঘর্ষের জেরে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপুলসংখ্যক ট্রাক সীমান্তে আটকে পড়েছে, যা এরই মধ্যে দুর্দশাগ্রস্ত আফগান জনগণের জন্য আরও সংকট সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তান আফগানিস্তানের প্রধান খাদ্য ও পণ্য সরবরাহকারী দেশ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন