উত্তর কোরিয়া সীমান্তে স্থাপন করা লাউড স্পিকার সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে কিম জং উন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য এত দিন এসব লাউড স্পিকার ব্যবহৃত হতো।
সোমবার (৪ আগস্ট) থেকে এসব লাউড স্পিকার সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত জুনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে লি জে মিয়ং দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো সম্প্রচার বন্ধ করে দেন। তার নেতৃত্বাধীন উদারপন্থি সরকার পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রচারযন্ত্রগুলো অপসারণ একটি ‘বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ’, যা যুদ্ধবিভক্ত দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করেছে, এটি দক্ষিণের সামরিক প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া বাইরের সমালোচনার ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল, বিশেষ করে তাদের নেতা কিম জং উনের বিরুদ্ধে প্রচারের ক্ষেত্রে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সিদ্ধান্তে পিয়ংইয়ং এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এর আগে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল সরকার কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর ফের প্রতিদিনের প্রচার চালু করে। প্রচারযন্ত্রে কেবল কিম সরকারের সমালোচনাই নয়, বরং কে-পপ গানও বাজানো হতো, যা পিয়ংইয়ং-এর সাংস্কৃতিক দমন নীতির বিরুদ্ধে একধরনের সাংস্কৃতিক আঘাত ছিল। জবাবে উত্তর কোরিয়া আবর্জনাভর্তি বেলুন পাঠিয়ে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছিল।