মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদারে যৌথ প্রতিনিধি দল পাঠাবে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও কয়েকটি আঞ্চলিক অংশীদার দেশ। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার মিশন পরিচালনা করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরের শুরুতে মঙ্গলবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। এ বছর আসিয়ান আঞ্চলিক জোটের সভাপতির দায়িত্বে আছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি নিশ্চিত করা অবশ্যই বড় অগ্রাধিকার, পাশাপাশি প্রথমে শরণার্থীদের এবং পরে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তাও জরুরি।’
আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দেখাশোনার যে বোঝা পড়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর বাড়তে থাকা সংঘাত ও সহিংসতার কারণে গত ১৮ মাসে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো সরবরাহ ও নির্মাণে সহযোগিতা নিয়ে পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।