নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের খবর সামনে এসেছে। চলমান সংকটের সংবিধানসম্মত সমাধানের পথ সুগম করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস, কাঠমান্ডু পোস্ট ও বিবিসি।
হিমালয়ান টাইমস বলছে, কাঠমান্ডুর বোহারতার এলাকায় মঙ্গলবার নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের ব্যক্তিগত বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা বাসায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বাসার ছাদ থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ চিত্র এখনো পরিষ্কার নয়।
আরেক সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, একই দিন সকালে ভক্তপুরের বালকোটে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। কর্মকর্তারা জানান, ভোরে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী তার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা পিছিয়ে যায়নি এবং শেষ পর্যন্ত ভেতরের দুটি বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ও পরিণত হয় লক্ষ্যবস্তুতে ।
নেপালের সংবিধান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের নির্বাহী প্রধান, অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি হলেন সরকারপ্রধান। ফলে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাওদেল যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে সরকার পতন সম্ভব নয়।
এদিকে মঙ্গলবার নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কারণে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারা।
এর আগে সোমবার পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত ও ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়। মঙ্গলবার কারফিউ উপেক্ষা করে আন্দোলন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় ২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।