মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতে ‘ঘি ঢালছেন’ বলে অভিযোগ করেছে চীন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিযোগ করেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আগুন উসকে দেওয়া, ঘি ঢালা, হুমকি দেওয়া এবং চাপ সৃষ্টি করা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে না, বরং কেবল সংঘাতকে আরও তীব্র ও বিস্তৃত করবে।
এদিকে, হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার একটি পথ উন্মুক্ত হতে পারে। ট্রাম্পের সফর সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্তকে তিনি আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদকে অবিলম্বে হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘তেহরানের সব বাসিন্দার উচিত এখনই শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়া।’ ট্রাম্পের এই পোস্টকে সরলভাবে দেখতে চাইছেন না অনেকেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, তেহরানবাসীদের প্রতি ট্রাম্পের এই আহ্বান পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক তীব্রতারই প্রতিফলন।
তার মতে, বিষয়টি এখন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখান থেকে পরিস্থিতি যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিভ্রান্তিই কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। আর এখন তিনি হয়তো সেটিই করার চেষ্টা করছেন।
আলজাজিরার সাংবাদিক পেটি কুলহেইন বলেন, তিনি যদি সত্যিই জি৭ সম্মেলনে অন্য নেতাদের মতো করে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালাতে চান, তাহলে তার যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’-এর জরুরি বৈঠক আহ্বান করার প্রয়োজন নেই। অত গুরুতর কিছু না হলে সাধারণত ‘সিচুয়েশন রুম’ সক্রিয় করা হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :