জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। ড্রোনগুলো কোন দেশের সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে মিউনিখ বিমানবন্দর দ্বিতীয়বারের বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিউনিখে কমপক্ষে ১৭টি ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়। সে সময় বিমানবন্দরের কাছাকাছি আকাশসীমায় একাধিক ড্রোন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আকাশসীমায় বারবার ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বেলজিয়ামের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ ১৫টি ড্রোনের উপস্থিতির বিষয়ে তদন্ত করছে। এসব ড্রোন জার্মান সীমান্তের কাছে এলসেনবর্ন সামরিক স্থাপনার ওপরে দেখা গেছে। ড্রোনগুলো শনাক্ত হওয়ার পর এগুলোকে বেলজিয়াম থেকে জার্মানিতে উড়ে যেতে দেখা গেছে। জার্মানির ছোট্ট শহর ডুরেনের পুলিশও এগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে।
তবে এসব ড্রোন কোত্থেকে এসেছে বা কারা এগুলো পরিচালনা করেছে তা শনাক্ত করতে সক্ষম হননি কর্মকর্তারা। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিনডট বলেছেন, তিনি শনিবার (৪ অক্টোবর) ইউরোপীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ড্রোনবিরোধী প্রতিরক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
শুক্রবারের আগে তিনি প্রস্তাবিত আইনটি সামনে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন যেন পুলিশ সামরিক বাহিনীকে ড্রোন গুলো করে নামানোর জন্য অনুরোধ করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি একাধিক ড্রোন শনাক্তের পরই চলতি সপ্তাহে কোপেনহেগেনে শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার ড্রোনগুলো দ্রুত সনাক্ত করতে, ট্র্যাক করতে এবং ধ্বংস করতে বহু স্তরের ড্রোন প্রাচীর তৈরির পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে।
এর আগে প্রায় ২০টি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডে প্রবেশ করে এবং রাশিয়ান মিগ-৩১ জেট এস্তোনিয়ান আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। বিমানবন্দর এবং সামরিক আকাশসীমার কাছে অজ্ঞাত ড্রোন দেখা যাওয়ার পরে কোপেনহেগেন এবং অসলো বিমানবন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।