আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি হামলা করে সম্পৃক্ত হয়ে গেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলা করার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেন।
কিন্তু এর দুদিনে মাথায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় ওয়াশিংটন। তাদের দাবি, হামলার আগেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অনত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে হরমুজ প্রণালীতে সমস্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। এরই মধ্যে সেটি কার্যকর করতে অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটি চলেছে ইরানের পার্লামেন্টে। এই প্রণালী দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ শতাংশ তেল ও গ্যাস রপ্তানি হয়ে থাকে। খবর প্রেস টিভি।
ইরানের এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। হরমুজ প্রণালী বন্ধ না করতে বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে বেইজিং ইরানকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আনার চেষ্টা করে।
রোবরাব (২২ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজের ‘সানডে মর্নিং ফিউচারস উইথ মারিয়া বার্তিরোমো’ অনুষ্ঠানে চীনের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বান এমন সময় এলো যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রুবিও বলেন, ‘আমি চীনা সরকারকে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য উৎসাহিত করছি, কারণ তারা তাদের তেলের জন্য হরমুজ প্রণালীর উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।’
তিনি বলেন, ‘যদি তারা এটা করে, তাহলে এটা হবে আরেকটি ভয়াবহ ভুল। যদি তারা এটা করে, তাহলে এটা তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যা। আর আমরা এটা মোকাবেলা করার বিকল্পগুলো রাখি, কিন্তু অন্যান্য দেশেরও এটির দিকে নজর দেওয়া উচিত। এটি আমাদের চেয়ে অন্যান্য দেশের অর্থনীতিকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
প্রণালী বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ নিলে বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি হবে এবং এর প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ইরান যথাযথভাবে পাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রুবিও।
আপনার মতামত লিখুন :