ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

খাবারের অভাবে গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ১৭ হাজার শিশু

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
গাজার ক্ষুধার্ত শিশু। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় খাবারের অভাবে প্রায় ১৭ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে এসব শিশুদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলছে ইসরায়েল।

শনিবার (১৯ জুলাই) উপত্যকাটিতে খাবারের অভাবে ৩৫ দিনের এক শিশু মারা গেছে। চরম অপুষ্টিতে ভুগে  নগরীর আলশিফা হাসপাতালে শিশুটি মারা যায় বলে জানান হাসপাতালটির মহাপরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া।

ওই শিশু ছাড়াও শনিবার হাসপাতালটিতে আরও একজন অনাহারে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে প্রতিদিনের মতো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলা হামলা অব্যাহত রেখেছে।

সবশেষ ২৪ ঘন্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৮ জন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

এমন সময়ে এসব ঘটনা ঘটেছে, যখন গাজার হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলোয় চরম অনাহারে মৃত্যুর মুখে চলে যাওয়া মানুষের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। এমন অবস্থা আগে কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় । 

গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে চাপে ফেলতে ভূখণ্ডটিতে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে ত্রাণের সন্ধানে বের হওয়া মানুষের ওপরও গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত একটি সংগঠনের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রকে ‘মৃত্যুকূপ’ বলে বর্ণনা করছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসের শেষদিক থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করে জিএইচএফ। তখন থেকে সংস্থাটির বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ নিতে যাওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ও জিএইচএফের ভাড়াটে সেনাদের গুলিতে প্রায় ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত সংগঠনটি গাজায় চারটি ত্রাণকেন্দ্র চালু করেছে। এর আগে গাজায় জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার অধীন প্রায় ৪০০ কেন্দ্র থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হতো। জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলোকে এখন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।