জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ মুহাম্মদ হুসেনকে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দখলদার ‘ইসরায়েল’। ফলে আগামী ছয় মাস তিনি আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেন না। খবর আনাদোলু।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি গ্র্যান্ড মুফতির প্রবেশ ছয় মাসের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে‘ইসরায়েল’।
আইনজীবী খালদুন নাজমের বরাত দিয়ে জেরুজালেম গভর্নরেট জানিয়েছে, ২৭ জুলাই জারি করা আট দিনের আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ‘ইসরায়েলি’ কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) জারি করা নতুন আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েল’-এর অনাহার নীতির নিন্দা জানিয়ে শেখ হুসেন শুক্রবারের (২৫ জুলাই) খুতবা দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই দিনে ‘ইসরায়েলি’ পুলিশ তাকে আটক করে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ‘ইসরায়েলি’ বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞে ৬১ হাজারের বেশি নিহত হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে সেনাবাহিনী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ছয় জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাত হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এই এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে, কারণ তারা বলে যে এটি প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান ছিল।
১৯৬৭ সালের আরব-‘ইসরায়েলি’ যুদ্ধের সময় ‘ইসরায়েল’ পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। ১৯৮০ সালে পুরো শহরটি নিজেদের দখলে নেয়, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও স্বীকৃতি দেয়নি।