এবার ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ভিশনের অংশ হিসেবে মিশর ও জর্ডান দখলের ঘোষণা দিলেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া গাজা দখল করতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ড্রেসডেনে মিত্র বাহিনীর বোমা হামলার মতো হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ‘গণহত্যাকারী’ নেতানিয়াহু। পাশাপাশি বাস্তুচ্যূত ফিলিস্তিনিদের আফ্রিকার দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশটিতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে তেল আবিব। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’।
এদিকে প্রতিদিনের মতো গাজায় নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘন্টায় উপত্যকাটিতে ৫৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আইডিএফ। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশি। এছাড়া খাদ্য সংকটের মধ্যে একই দিনে অপুষ্টিতে মারা গেছে আরও ৪ জন।
এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ হাজার ৭ শত ৭৬ জনে, নিখোঁজ কমপক্ষে ১৪ হাজার।
এই হত্যাযজ্ঞ এমন এক সময়ে ঘটছে যখন ইসরায়েল গাজা সিটিতে হামলা আরও তীব্র করেছে। দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সম্প্রতি শহরটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে লাখো ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ গাজায় গাদাগাদি করে বসবাস করতে বাধ্য করা হতে পারে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে, এমনকি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেও এর বিরোধিতা এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় উত্তর গাজার বড় অংশ এখন “নিষ্প্রাণ ধ্বংসস্তূপে” পরিণত হয়েছে। গাজা সিটির বাসিন্দারা নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত, কারণ শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে ইসরায়েল তাদের আরও দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন