ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আফগানিস্তানে একটি গ্রাম পুরোপুরি বিধ্বস্ত, নিহত ৮০০ ছাড়িয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ছবি- সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্তত আড়াই হাজার মানুষের আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। আফগান সরকারের মুখপাত্র মৌলভী জবিউল্লাহ মুজাহিদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, উদ্ধার অভিযান চলছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন আফগানিস্তানের জাতীয় পরিচালক থামিন্দ্রি দে সিলভা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় দুর্গম ভৌগোলিক অবস্থার কারণে এখনো ধ্বংসযজ্ঞের সম্পূর্ণ চিত্র স্পষ্ট নয়। তবে মাজার ভ্যালি এলাকাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হিসেবে মনে করা হচ্ছে। একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি আফগানিস্তানের সবচেয়ে দুর্গম এবং দরিদ্র অঞ্চলের একটি। এখানে অবকাঠামো প্রায় নেই বললেই চলে, সড়ক যোগাযোগ খুব সীমিত, কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা স্কুল নেই।’

সিলভা বলেন, ‘স্থানীয় বাড়িঘর মূলত কাদা ও অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি। ফলে ভূমিকম্পে এগুলো সহজেই ধসে পড়ে এবং অনেক মানুষ মাটিচাপা পড়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক বার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬। জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার। এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর অন্তত আরও দুটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।

দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, কুনার প্রদেশের নুর গাল, সাওকি, ওয়াতপুর, মানোগি ও চাপা দারা জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি, কারণ অনেক দুর্গম এলাকা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সাওকি জেলার দেবা গুল এবং নুর গাল জেলার মাজার দারায় ভূমিধসের কারণে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে দেশটিতে আঘাত হানা অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে অভিহিত করেছেন।