জেরুজালেম শহরের উপকণ্ঠে রামোট জংশন এলাকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার বুদাপেস্টে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে। হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশটির পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে হামলাকারী দুজনকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের পরিচয় বা হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস এ হামলার প্রশংসা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করেনি। হামাস দাবি করেছে, দুই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় আরও ১২ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, দুই হামলাকারী গাড়িতে করে এসে রামোট জংশনে বাসস্ট্যান্ড লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং এক বেসামরিক ব্যক্তি হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করেছে। অপর একটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদও এই হামলার প্রশংসা করেছে, তবে তারাও দায় স্বীকার করেনি।
প্রসঙ্গত, রামোট জংশন এমন এক এলাকায় অবস্থিত, যা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল দখল করে এবং পরে একতরফাভাবে সংযুক্ত করে নেয়, যা জাতিসংঘ ও অধিকাংশ দেশ স্বীকৃতি দেয় না। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ঘটনাস্থলে সেনা মোতায়েন করেছে এবং হামলাকারীদের সহায়তাকারীদের খুঁজে পেতে পুলিশকে সহায়তা করছে। পাশাপাশি পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে অভিযান চালানো হচ্ছে।