ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
পাকিস্তানের এম-২ মোটরওয়ের বালকাসার ইন্টারচেঞ্জের কাছে দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তানে পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে। স্থানীয় রেসকিউ ও মোটরওয়ে পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে এম-২ মোটরওয়ের বালকাসার ইন্টারচেঞ্জের কাছে। সেখানে রাওয়ালপিন্ডি থেকে লাহোরগামী একটি প্রাইভেট বাসের চাকা ফেটে যাওয়ার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, এরপর বাসটি উল্টে যায়।

চকওয়াল রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ইসলামাবাদ থেকে লাহোর যাচ্ছিল। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি ধোক সিয়াল নামক স্থানে খাদে পড়ে গেলে ৯ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়।

রেসকিউ সংস্থার প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। বাকিদের বয়স ১৬ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ১৪ ও ২ বছর বয়সি দুই বোনও রয়েছে। তাদের মা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া, আহতদের মধ্যে ফিলিপাইনের এক নারীও রয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের কেলার কাহার ট্রমা সেন্টার ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ছাড়া জামশোরো এলাকায় এম-৯ মোটরওয়েতে করাচি থেকে হায়দরাবাদগামী একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হলে দুজন নিহত এবং আটজন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ট্রাকচালক ও বাসের কন্ডাক্টর রয়েছেন।

একই দিনে দারসগাহ মোহাম্মদ আলী এলাকায় আরও একটি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও ২০ জনের বেশি আহত হয়। করাচি থেকে কিনঝার লেকের উদ্দেশে পিকনিকে যাচ্ছিল যাত্রীবোঝাই বাসটি, যা অতিরিক্ত গতির কারণে উল্টে যায়।

এ ছাড়া, পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় করাচি থেকে মানসেহরাগামী একটি বাস খাইরপুরের তান্দো মাস্তি এলাকায় উল্টে গেলে তিনজন নিহত এবং ২৫ জনের বেশি আহত হয়।

পুলিশ ও রেসকিউ কর্মকর্তারা এসব দুর্ঘটনার পেছনে বাসচালকদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। দ্রুতগতির কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন তারা।