ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি আলোচনা শুরু, আছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনও

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
শান্তি আলোচনার ছবি। বিবিসি থেকে সংগৃহীত

পঞ্চম দিনের মতো চলা হামলা-পাল্টা হামলার মাঝে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। সোমবার (২৮ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারি বাসভবন সেরি পেরদানায় থাই ও কম্বোডিয়ার নেতাদের গাড়িবহর পৌঁছায়।

বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।  শনিবার (২৫ জুলাই) থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার চলমান সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন তিনি। সোমবারের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ও চীনের একটি প্রতিনিধিদলও অংশ নিয়েছে।

এর আগে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত কুয়ালালামপুরে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা পর উভয় নেতা ও মধ্যস্থতকারী বিভিন্ন পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান।

বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার উভয় নেতা দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো নিয়ে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

তবে আলোচনা শুরুর আগ মুহূর্তেও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সৈন্যদের মাঝে নতুন করে গুলি বিনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম বলেছেন, কম্বোডিয়া সৎ উদ্দেশে কাজ করছে বলে মনে করে না ব্যাংকক। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া বলছে, সোমবার পঞ্চম দিনের মতো ভারী অস্ত্র ও বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড।

২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে এ পর্যন্ত ৩৩ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এ ছাড়া দুই দেশের সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণ, রকেট ও গুলিবিনিময়ের কারণে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে দুই লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।