ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

যুদ্ধবিরতি হলেও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত বন্ধ অনিশ্চিত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ। ছবি- সংগৃহীত

কয়েকদিনের তীব্র সংঘাতের পর অবশেষে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা এক টেবিলে বসেছেন শান্তি আলোচনার জন্য। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ঐতিহাসিক বৈঠক। আনোয়ার ইব্রাহিম নিজেই এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন। উপস্থিত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারাও, যারা ইতোমধ্যেই সংঘাত নিরসনে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তি আলোচনায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও অনিশ্চিতই থেকে যাচ্ছে সংঘাত বন্ধের সম্ভাবনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, উভয়পক্ষের সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামানো কঠিন হবে। আর যদি চুক্তিও হয়, তবু পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারে কয়েকদিন সময় লাগবে।

এর আগে আঞ্চলিক সংগঠন আসিয়ান-এর বর্তমান সভাপতি মালয়েশিয়া গত শুক্রবার এই দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও, থাইল্যান্ড তা বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয়, এই সমস্যা কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানযোগ্য।

তবে হঠাৎ করে পরিস্থিতি বদলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর। তিনি থাইল্যান্ডের সঙ্গে ট্যারিফ আলোচনায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

বর্তমানে থাই পণ্য ৩৬ শতাংশ আমদানি শুল্কের মুখে পড়ছে এবং অর্থনীতির বিশাল অংশ মার্কিন রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায়, থাইল্যান্ড চাপের মুখে পড়েছে।

কম্বোডিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, থাইল্যান্ড জানিয়েছে, তারা তখনই যুদ্ধবিরতি বিবেচনা করবে, যদি কম্বোডিয়া ‘সত্যিকারের সদিচ্ছা’ দেখায়।

এদিকে রাতভর দুই দেশের সীমান্তে গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে। কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় আরও কয়েকটি থাই গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।