কারাগারে থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেশের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে নিপীড়ক স্বৈরশাসক’ এবং ‘মানসিকভাবে অস্থির’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) ইমরান খান তার অফিসিয়াল এক্সপোস্টের মাধ্যমে এই মন্তব্য করেছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসিম মুনির পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে নিপীড়ক স্বৈরশাসক এবং মানসিকভাবে অস্থির মানুষ। তার শাসনামলে অত্যাচারের মাত্রা নজিরবিহীন... ক্ষমতার লোভে মুনির যেকোনো কিছু করতে সক্ষম।’
৭৩ বছর বয়সি সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খান, যিনি ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে একাধিক মামলায় কারাবন্দি।
পোস্টে ইমরান খান গত ৯ মে ২৬ নভেম্বর ও মুরিদকেতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো উল্লেখ করে লিখেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নাগরিক দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটেছে। ইসলামাবাদে তার দলের কর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ এবং মুরিদকেতে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নের ঘটনাগুলো তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
খান বলেন, ‘নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো এমন একটি ঘটনা, যা কোনো সভ্য সমাজ কল্পনাও করতে পারে না। অন্য যুগে নারীদের ওপর এত বর্বরতা দেখা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে কেবল তার ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।
ইমরান খান বলেছেন, ‘আমরা দাসত্বের চেয়ে মৃত্যুকে বেশি পছন্দ করি। আসিম মুনির আমার এবং আমার স্ত্রীর ওপর সম্ভাব্য সকল ধরনের অবিচার চাপিয়ে দিচ্ছেন। আমি কখনো তার কাছে মাথা নত করব না বা আত্মসমর্পণ করব না।’
তিনি বলেন, তেহরিক-ই-ইনসাফ দল শেহবাজ শরীফের সরকার বা শক্তিশালী সামরিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে না।
খান বলেন, “যখন একটি পুতুল সরকারের প্রধানমন্ত্রী ‘আমি উত্তর দেওয়ার আগে জিজ্ঞাসা করব’ নীতির অধীনে কাজ করেন, তখন তাদের সঙ্গে আলোচনা অর্থহীন। আলোচনাও নিরর্থক, কারণ আমরা যখনই সংলাপের চেষ্টা করি, তখনই দমন-পীড়ন আরও তীব্র হয়। বর্তমানে সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে—আসিম মুনির—যিনি তার আসন সুরক্ষিত করার জন্য যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারেন।”
তিনি আরও দাবি করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। ‘সবাই জানে যে এই মামলাগুলো ভিত্তিহীন এবং অবশেষে ভেঙে পড়বে, সেই কারণে তাদের শুনানি থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।’

