ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

চার্লি কার্ককে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ দিলেন ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০৯:০০ এএম
প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম গ্রহণ করছেন চার্লির স্ত্রী । ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ককে মরণোত্তর প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) কার্কের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই বেসামরিক সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী এরিকা কার্ক। এ সময় তাঁর চোখে ছিল অশ্রু।

পদক দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি একজন সাহসী যোদ্ধাকে সম্মান জানাতে এবং স্মরণ করতে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এমনভাবে উদ্দীপনা জাগিয়েছেন, যা আমি আগে কখনো দেখিনি।’

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ইভেন্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন চার্লি কার্ক। বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ঘাড়ে গুলি লাগে এবং তিনি মঞ্চের ওপর পড়ে যান। এ ঘটনায় টাইলার রবিনসন নামের ২২ বছর বয়সি এক তরুণকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন চার্লি কার্ক। তিনি ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ নামের রাজনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন। টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কনজারভেটিভ যুব সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় ছিলেন কার্ক। তার অনুসারীর সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় পডকাস্ট ও রেডিও শো ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’ পরিচালনা করতেন। ফক্স নিউজে তিনি সহ-উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন।

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে তরুণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল কার্কের সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ। ট্রাম্পও স্বীকার করেছিলেন, তার দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কার্কের বড় ভূমিকা ছিল। বেঁচে থাকলে গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ৩২ বছরে পা রাখতেন তিনি।