বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

কারা এই নেপো কিডস, কেন তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

কারা এই নেপো কিডস, কেন তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ

নেপালের জেন-জি প্রজন্মের এ বিক্ষোভ কেবল সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের কারণেই নয়; এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং ক্ষমতাশালীদের সন্তানদের (যাদের বলা হচ্ছে ‘নেপো কিডস’ ও ‘নেপো বেবিজ’) অযাচিত সুযোগ-সুবিধা প্রদান। নেপালের কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে লিখেছে, জেন-জি প্রজন্মের এ বিক্ষোভ কেবল সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের কারণেই নয়; এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং ক্ষমতাশালীদের সন্তানদের (যাদের বলা হচ্ছে ‘নেপো কিডস’ ও ‘নেপো বেবিজ’) অযাচিত সুযোগ-সুবিধা প্রদান। কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সরব ছিলেন নেপালি তরুণেরা।

তারা টিকটক, রেডিটসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নেপাল সরকার ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ও মেসেজিং অ্যাপ বন্ধ করে দিলে তরুণদের এ প্রতিবাদ নতুন করে গতি পায়। প্রতিবাদ জানাতে এবার অনলাইন ছেড়ে রাজপথে নামেন হাজার হাজার নেপালি তরুণ। তাদের এই বিক্ষোভ এখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অলির দাবি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত তাদের ‘জাতীয় মর্যাদা’ রক্ষার পদক্ষেপ। তবে তরুণেরা বলছেন, এটি সরকারের ভিন্নমত দমনের কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। বিক্ষোভের জেরে কাঠমান্ডুজুড়ে সেনা মোতায়েন ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা আরও বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা আজ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, নেতাদের সন্তানেরা বিদেশ থেকে ফেরে গুচ্চি ব্যাগ নিয়ে, আর সাধারণ মানুষ ফেরে কফিনে। উল্লেখ্য, এখানে কফিন বলতে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে যেসব নেপালি প্রাণ হারান, তাদের মরদেহ ফেরত আনার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তীব্র দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে দেশটির ১৫-২৯ বছর বয়সি তরুণদের প্রায় ১৯.২ শতাংশ ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত সপ্তাহজুড়ে টিকটক ও রেডিটে ‘নেপো কিডস’ ও ‘নেপো বেবি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করা হচ্ছিল।

আর এসব পোস্ট ব্যাপকভাবে সবাই শেয়ারও করছিলেন। এসব পোস্টে দেশে বসবাসরত নেপালি ও প্রবাসী নেপালিরা রাজনীতিবিদদের পরিবারের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা আর সাধারণ নাগরিকদের দুঃসহ সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাজনীতিবিদদের সন্তানেরা ব্র্যান্ডের পোশাক পরে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে সাধারণ নেপালিরা কাজের খোঁজে দেশ ছাড়ছেন। অথচ এই প্রবাসীরাই রেমিট্যান্সের মাধ্যমে নেপালের জিডিপির ৩৩ শতাংশের জোগান দিয়ে থাকেন।  নেপালের অর্থনীতি পর্যটননির্ভর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা দেশটির এই অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে। তবে মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অর্থনীতির ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

রেডিটে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘রাজনীতিবিদদের সন্তানেরা ভালোভাবেই জানে তাদের বিলাসিতা কোথায় থেকে আসে। তাদের বিলাসিতা আসে আপনার-আমার ট্যাক্স থেকে। আমরা সংগ্রাম করি, তারা বিশেষ সুবিধা পায়। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া আর্কাইভ করে রাখুন, যেন তারা প্রমাণ মুছে ফেলতে না পারে।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমাদের ট্যাক্স, তাদের বিলাসিতা... আমরা দেই, তারা ব্যয় করে।’ টিকটকে ভাইরাল এক ভিডিওতে বলা হয়, ‘নেপো কিডসরা ইনস্টাগ্রাম-টিকটকে তাদের বিলাসী জীবনযাপন প্রদর্শন করে, কিন্তু কখনো বলে না কোথায় থেকে টাকা আসে।’ কাঠমান্ডু রিপাবলিকা পত্রিকা ‘পাঠাও’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম মান সিং বসনিয়াতকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘মানুষ তোমাদের মুখোশ খুলে দেবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি নিয়ে প্রকাশ্যে হাজির করবে। এটা ঘৃণা নয়, এটা জবাবদিহি।’ তরুণেরা যাদের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অলি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও পুষ্পকমল দহল প্রচ-ের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। নেপালে তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ চলাকালীন ১৯ জন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!