দুর্গাপূজার আগে উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তার শিলিগুড়ি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আজ বুধবার ডুয়ার্সে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী চা-শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেবেন। উল্লেখ্য, জমির পাট্টা হলো একটি সরকারি নথি বা দলিল, যা নির্দিষ্ট শর্তে কোনো ব্যক্তিকে জমি চাষ বা ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয় এবং এটি জমির মালিকানা বা স্বত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে। জানা গেছে, ডুয়ার্সের মাটিয়ালি ব্লকের আটজন শ্রমিককে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি মঞ্চ থেকে পাট্টা দেবেন। এ ছাড়া বাকি শ্রমিকদেরও ওই দিনই জমির পাট্টা হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
তৃণমূল একে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করছে। মাটিয়ালি ব্লকের তৃণমূল সভানেত্রী স্নোমিতা কালান্দি বলেন, ‘শ্রমিকদের জমির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা শ্রমিক সমাজকে আত্মবিশ্বাসী করবে।’ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও বলছেন, পাট্টা হাতে এলে শ্রমিক পরিবারগুলো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে আরও স্বচ্ছন্দ হবে। উচ্ছ্বসিত শ্রমিকেরাও। স্থানীয় শ্রমিক লক্ষ্মী মুন্ডা বলেন, ‘অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল নিজের জমিতে ঘর তৈরি করার। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই কাগজ পেলে আমরা আর ভাসমান থাকব না।’ অঞ্জলি সাবাররা নামের আরও এক শ্রমিক বলেন, ‘এত বছর চা-বাগানে শ্রম দিয়ে এসেছি, কিন্তু মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। এবার সেটি হবে।’ তবে, বিজেপি একে কেবলই একটি স্টান্ট বলে আখ্যা দিচ্ছে। তাদের ভাষ্য সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরবঙ্গ বরাবরই রাজনৈতিক দিক থেকে সংবেদনশীল। এই অঞ্চলে বিজেপির অবস্থান শক্ত। ফলে জমির পাট্টা দিয়ে শ্রমিকদের কাছে জনপ্রিয় হতে চাইছে তৃণমূল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন