- শঙ্কা বাড়াচ্ছে প্রকাশ্যে গুলি
- আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা
- চলতি বছরের দশ মাসে নগরীতে খুন ৩৭১
- ডিএমপির দাবি, দশ মাসে ঢাকায় খুন ১৯৮, প্রতি মাসে গড়ে ২০
- আইনের সঠিক প্রয়োগ ও অপরাধীর বিচার নিশ্চিতের দাবি বিশেষজ্ঞদের
ঘরে-বাইরে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছে মানুষ। রাজধানী ঢাকায় গড়ে প্রতি মাসে ৩৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, পারিবারিক কলহ ও ব্যক্তিগত বিরোধে গড়ে প্রতিদিনই ঘটছে খুন-খারাবি, ঝরছে রক্ত। এসব খুনের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। ফলে শঙ্কা বাড়াচ্ছে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনা। পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের গত দশ মাসে শুধু রাজধানীতেই হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৭১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছে জুলাই মাসে, এ মাসে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন। এসব হত্যাকা-ের কিছু ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনাস্থলেই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা গেলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা থেকে যাচ্ছেন অধরা। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাবি, চলতি বছরের গত দশ মাসে রাজধানীতে ১৯৮টি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে, সে হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, এসব হত্যাকা-ের বেশির ভাগেরই রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবীর পুরোনো থানার কাছে সি ব্লকের একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে ঢুকে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিন সন্ত্রাসী যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করে হত্যা করে। এর কয়েক দিন আগে পুরান ঢাকার রাস্তায় একই স্টাইলে খুন করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে। এসব হত্যাকা-ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সংযোগ দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। লুটের পর উদ্ধার না হওয়া হাজারের বেশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও চোরাই পথে আসা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে এসব হত্যাকা-ে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসীদের মধ্যে ভয়হীনতায় সৃষ্টি হলে অপরাধের মাত্রায় নৃশংসতা বাড়ে। নিজেদের ক্ষমতা আর প্রতিপত্তির জানান দিতে অপরাধীরা এ ধরনের নৃশংসতা ছড়ায়। এ কারণে খুনের নৃশংসতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের বড় অংশ উদ্ধার না হওয়া, অপরাধী গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পাওয়া এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। এসব ভয়াবহতা ঠেকাতে হলে আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যানে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের গত দশ মাসে (জানুয়ারি থেকে অক্টোবর) রাজধানীতে ৩৭১ জন খুন হয়েছে। সে হিসেবে গড়ে প্রতি মাসে খুন হয়েছে ৩৭ দশমিক ১ জন। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি খুন হয়েছে জুলাইতে এবং সব চেয়ে কম হত্যাকা- ঘটেছে অক্টোবরে। পরিসংখ্যানে অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে খুন হয়েছে ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৮ জন, মার্চে ৩৩ জন, এপ্রিলে ২৯ জন, মে মাসে ৩২ জন, জুনে ৪৯ জন, জুলাইতে ৭৫ জন, আগস্টে ৩২ জন, সেপ্টেম্বরে ২৫ জন এবং অক্টোবরে ২২ হত্যাকা-ের শিকার। ২০২৪ সালে রাজধানীতে ৩০২টি হত্যাকা- সংঘটিত হয়। এর মধ্যে ওই বছরের অগস্টে সবচেয়ে বেশি হত্যাকা- ঘটে, যার সংখ্যা ১১৯টি। এই দুই বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দশ মাসে ৬৯টি হত্যাকা- বেশি সংঘটিত হয়েছে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, চলতি গত দশ মাসে রাজধানীতে ১৯৮টি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। সে হিসেবে গড় ২০টির মতো হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। যার বেশির ভাগ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবী সি-ব্লকে একটি দোকানে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। কেন হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের মতবিরোধের কথা শোনা গেলেও কিছুই জানে না পুলিশ।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় জনি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চিহ্নিত সন্ত্রাসী পাতা সোহেল, ভাগনে মাসুম, দর্জি মামুন, বোমা কালু ও রোকনের নাম উঠে এসেছে। তারা ছয়জন কিলিং মিশনে অংশ নেন। ব্যাবসায়িক, রাজনৈতিক নাকি মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কানেকশনের কোনো বিষয় রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।
হত্যাকা-ের ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাস্ক ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় গোলাম কিবরিয়া দোকানের চেয়ার টেনে লুকানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। পাশে অন্যরা থাকলেও তারা অস্ত্রধারীদের প্রতিহত করতে পারেননি। মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই হত্যাকা-টি সংঘটিত হয়।
এ ঘটনার ঠিক কয়েক দিন আগে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। যেখানেও উঠে আন্ডারওয়ার্ল্ডের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম। প্রশ্ন ওঠে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সক্রিয়তা নিয়ে। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অধিকাংশ হত্যাকা-ের পেছনে রাজনৈতিক মতবিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও মাদক কারবার জড়িত। হত্যার ঘটনার পর ঠিকই তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারও হয় আসামি। তবে হত্যার কলকাঠি নাড়া ব্যক্তিরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘গত ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮টি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। সে হিসেবে মাসপ্রতি গড়ে প্রায় ২০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।’ তবে পুলিশ বেশির ভাগ হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পল্লবীতে যুবদল নেতার হত্যার ঘটনায় পুলিশ বিস্তারিত অনুসন্ধান করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকা-ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের এবং অস্ত্রধারী যারা তাদের চিহ্নিত করার কাজ আরম্ভ করেছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষমত হব।’
গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে আহমেদ সাব্বির নামে এক ছাত্রদল নেতার হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে রাজধানীর গুলশান লেকের পাশে সৌরভ নামে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলছেন তার রাজনৈতিক সতীর্থরা। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গুলশানের ৫৫ নম্বর রোডের শেষ মাথায় লেকের পাশের ওয়াকওয়ে থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।’
গত ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় বাসায় ঢুকে মামুন শিকদার (৩৯) নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ফটকের বিপরীতে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে। তিনি আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বের হচ্ছিলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা তৎপরতা বাড়িয়ে দেওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করা এসব সন্ত্রাসী তাদের সহযোগীদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে। আবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জড়াচ্ছে খুনোখুনিতেও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আন্ডারওয়ার্ল্ড উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। দেশের বাইরে থাকা সন্ত্রাসীরা নিজেদের সহযোগীদের মাধ্যমে নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। কারাগারে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের সহযোগীদের বার্তা দিচ্ছে। যারা বের হয়েছে তারাও নতুন মেরুকরণে নেমেছে। যে কারণে সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে পুলিশ সদর দপ্তর সবকটি ইউনিট, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার এসপিদের বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামিনে মুক্ত হতে নানা চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। প্রথমে কারাগার থেকে মুক্ত হন কিলার আব্বাস। আরও মুক্ত হন সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগ এলাকার সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীর মধ্যে ভয়হীনতার বোধ সৃষ্টি হলে অপরাধের মাত্রায় নৃশংসতা বাড়ে। নিজেদের ক্ষমতা আর প্রভাবের জানান দিতে অপরাধীরা এ ধরনের নৃশংসতা ছড়ায়। এসব ভয়াবহতা ঠেকাতে হলে আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরেও রাষ্ট্র ও সমাজ আইনের শাসনের পথে হাঁটতে চায় এমন ব্যবস্থা আমরা দেখছি না। যৌথ বাহিনীর জোরালো সাঁড়াশি অভিযান নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্যম কমে যাওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিরোধও তৈরি হচ্ছে না। ফলে অপরাধ বেড়েই চলছে। বিচার নিশ্চিত না করা গেলে এ রকম হবে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এ ধরনের হত্যাকা- ও বোমা বিস্ফোরণে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা সমাজে যত বেশি অবৈধ অস্ত্র থাকবে, তত বেশি অপরাধের ঝুঁকি থাকবে।’ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে জোরালো বিশেষ অভিযান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন এ অপরাধ বিশেষজ্ঞ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লুটের পর উদ্ধার না হওয়া হাজারের বেশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও চোরাই পথে আসা অস্ত্র এসব হত্যাকা-ের ব্যবহৃত হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এবং পরবর্তী সময়ে অনেক অস্ত্র-গুলি সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে। পুলিশের লুট হওয়া ১ হাজার ৩৪২টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন