মাঝেমধ্যে পেটের ব্যথায় অনেকেই ভুগে থাকেন। তবে সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকেই তা নিয়ে মাথা ঘামান না। অনেক সময় ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, স্থায়ী কোনো উপকার মেলে না। ওষুধের প্রভাব কাটলেই আবার ব্যথা ফিরে আসে। এ ব্যথা গ্যাস্ট্রিক আলসারের নয় তো? এ রোগটিই একটা সময়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। হতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আলসার থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ রোগটির সঙ্গে কমবেশি প্রায় সবাই পরিচিত। লক্ষণগুলো জানা থাকলে চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হয়।
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেটে ব্যথা বাড়লে আপনার আলসার হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এ লক্ষণগুলো দেখলে এড়িয়ে যাবেন না।
আলসারের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর পেটে ব্যথা বাড়ে। খাবার খাওয়ার পর যদি এমনটা প্রায়ই ঘটে, তাহলে তা আলসারের লক্ষণ হতে পারে।
বুক জ্বালা করলে অনেকেই অম্বলের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। ঘন ঘন এমনটা হলে কিন্তু তা আলসারের লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সারাক্ষণ গা গোলানো, বমি বমি ভাব সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই আলসার হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাধারণত আলসার হলেও এ উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তাই ফেলে রাখবেন না।
পরিপাকতন্ত্রের আলসার কিন্তু প্রাণঘাতী হতে পারে। এই রোগের কারণে খাদ্যনালিতে রক্তক্ষরণও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বমি কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসে। চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে এই আলসার থেকে সহজে মুক্তি মেলে না এবং বেশি বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
অনেকেরই ধারণা ঝাল, তেল, মসলাদার খাবার খেলেই বুঝি আলসার হয়। এ ধারণা কিন্তু ভুল। শুধু ঝাল বা মসলাদার খাবার আলসারের জন্য দায়ী নয়। তবে এসব খাবার রোগের তীব্রতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে।
ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস পরিপাকতন্ত্রে আলসারের আশঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে আমরা অনেকে খেতেও ভুলে যাই। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলেও আলসারের ঝুঁঁকি বাড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা উপশমের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন