মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১২:২৮ এএম

গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১২:২৮ এএম

গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার  দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। একই সঙ্গে দায়ের করা মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

গতকাল সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশনস অফিসার ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করবে বিশেষ কমিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে মোট ৮৩৭টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলার বিচারকার্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে পুলিশ ইতোমধ্যে ১৯টি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে। এসব হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০০-এর ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাসমূহের প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কমিটির কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে: (ক) কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)।

(খ) এরূপ মামলার মধ্যে যেসব মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং উক্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট প্রেরণ করবে। (গ) কমিটি ইহার কার্যক্রম বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে।

‘ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে আসামিকে বলা সাঁতার কাটো’:

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করা মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে এখন সাঁতার কাটো’। রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্কে এ কথা বলেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা মামলায় যুক্তিতর্কে আমির হোসেন এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার আসামি।

তাদের মধ্যে মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। এই দুজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!