মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। রায়ের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ চাইলেও ভারত কেন শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে চাইবে না তা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আলজাজিরার অনলাইন সংস্করণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৭৮ বছর বয়সি শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদ- দেন। গত বছর ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়ার দায়ে শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
গত বছর বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার ওপর শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনী দমন-পীড়ন চালায়। শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ভারতের আশ্রয়ে আছেন। শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ সত্ত্বেও তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি ১৫ মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। এখন হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ- দেওয়ার ঘটনায় এই উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও ভারত হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। কয়েকজন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, তারা এমন কোনো দৃশ্য কল্পনাও করতে পারছেন না যে, নয়াদিল্লি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদ-ের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, ‘নয়াদিল্লি কীভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে?’
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘ভারতে হাসিনার উপস্থিতিটা ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা হয়ে থাকবে’।
হাসিনা বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে তিনি। শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনি কয়েক বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি আবার ক্ষমতায় ফেরেন। এরপর টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি যে নির্বাচনগুলোতে জয়ী হয়েছেন, সেগুলো প্রায়ই বিরোধী দল বর্জন করেছে কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায়নি। এ সময় হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। অনেককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই সময় নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছিল এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অনেককে কোনো বিচার ছাড়াই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাসিনা সরকার তাদের অর্থনৈতিক সাফল্যকে সামনে এনে তার শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটার বিধানে সংস্কার চেয়ে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের পর সারাদেশে চলা ওই বিক্ষোভ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রূপ নেয়।
শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের মিত্রতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তিনি নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান। নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা চলার মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা দেখা দেয়।
গত সোমবার ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করেছে। মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তির কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নয়াদিল্লির জন্য ‘আবশ্যিক দায়িত্ব’। তারা আরও বলেছে, ভারত যদি হাসিনাকে ক্রমাগত আশ্রয় দিয়ে যায়, তাহলে তা হবে ‘অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অসম্মান’।
তবে ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আলজাজিরাকে বলেছেন, প্রত্যর্পণ চুক্তিতে একটি ব্যতিক্রমের কথা বলা আছে। ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের’ ক্ষেত্রে এ ব্যতিক্রমী ধারা ব্যবহার করা যাবে।
নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক সঞ্জয় ভরধোয়াজ বলেন, ‘ভারত এই ঘটনাকে (হাসিনার মামলা) বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে।’
ভরধোয়াজ আলজাজিরাকে আরও বলেন, ‘‘নয়াদিল্লি মনে করে, বর্তমানে বাংলাদেশে ‘ভারতবিরোধী শক্তি’ ক্ষমতায় আছে। ইউনূস প্রায়ই ভারতের সমালোচনা করেন। হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতা ও অংশগ্রহণকারীরাও প্রায়ই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লিকে দায়ী করেন।’’ ভরধোয়াজ মনে করেন, এসব দিক বিবেচনায় নিলে হাসিনাকে হস্তান্তর করার মানে হবে ‘ভারতবিরোধী শক্তিকে’ বৈধতা দেওয়া।
হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হাসিনার রায়ের বিষয়ে ভারত অবগত হয়েছে এবং তারা সবসময় সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। ভারত আরও বলেছে, তারা বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, শিগগিরই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে তিনি মনে করেন না। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের (বাংলাদেশ) অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে যাবে। কারণ, তারা বারবার বলতে থাকবে, ভারত আমাদের কাছে হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না।’
পিনাক চক্রবর্তী মনে করেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সূচনা হতে পারে। যদিও নির্বাচনে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বড় বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য বড় রাজনৈতিক শক্তি ভারতের সমালোচক। তবু নির্বাচিত প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করাটা ভারতের জন্য স্বস্তির হবে।
ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ‘হাসিনার বিষয়ে ভারত জটিলতার মধ্যে পড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তার প্রতি জনগণের ক্ষোভকে তারা উপেক্ষা করতে পারে না।’
শ্রীরাধা আরও বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লি চাইবে, ভবিষ্যতে কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরুক। তিনি (হাসিনা) ভারতের জন্য সবসময়ই সর্বোত্তম পছন্দ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারতকে মানতে হবে, বাংলাদেশে হাসিনাকে আর কখনো সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর পরিবর্তে ভারতের উচিত, ঢাকার অন্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা।’
শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই এই নির্দিষ্ট এজেন্ডা (হাসিনার প্রত্যর্পণ) ছেড়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ শ্রীরাধা দত্ত মনে করেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যদি আর মিত্রতা নাও থাকে, তবু তাদের একে অপরের প্রতি শিষ্টাচার বজায় রাখা প্রয়োজন।’
দীর্ঘদিন ধরে ভারত বলে আসছে, তার সম্পর্ক বাংলাদেশের সঙ্গে। কোনো নির্দিষ্ট দল বা নেতার সঙ্গে নয়। তবু ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কটা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ‘অন্যায্য বলে বিবেচিত’ চুক্তি করার কারণে ব্যাপক সমালোচনা ছিল শেখ হাসিনার।
ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যখন হাসিনার পালানোর প্রয়োজন হলো, তখন তিনি কোথায় আশ্রয় চাইতে পারেন, তা নিয়ে তেমন একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল না বললেই চলে। নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল তাকে সাদরে গ্রহণ করেন।
ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক চক্রবর্তী বলেন, ‘এবার আমরা হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাইনি। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাকে স্বাভাবিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। কারণ তিনি তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভারত তাকে থাকতে দিয়েছিল। কারণ, সেটা ছাড়া আর বিকল্প কী ছিল?’
পিনাক আরও বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) কি বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারবেন, বিশেষ করে এখন যখন তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের রায় হয়েছে? তিনি ভারতের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ ছিলেন এবং এ ব্যাপারে ভারতের নৈতিক অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।’
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘ভারতে হাসিনার উপস্থিতিটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা হয়ে থাকবে।’ তবে কুগেলম্যান মনে করেন, এমন পদক্ষেপ নয়াদিল্লির জন্য দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সুবিধাও নিয়ে আসতে পারে।
সিরাজদিখানে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিল, এসআই প্রত্যাহার
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় শেখ হাসিনার রায়ের প্রতিবাদে পুলিশের টহল দলের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজারে এ মিছিল করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর নাম কামরুজ্জামান সিকদার। তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকাল ৯টার দিকে ইমামগঞ্জ বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে কার্যক্রম-নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশত নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া শেখ হাসিনার মৃত্যুদ-ের রায়ের প্রতিবাদে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি ইমামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় সেখানে টহলরত পুলিশের একটি গাড়ি ছিল। তবে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে টহলের দায়িত্বে থাকা সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, মিছিলটি তাৎক্ষণিক হয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পুলিশের একটি টহল গাড়ি যাচ্ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিছিলের লোকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর এসআই কামরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। মিছিলে থাকা তিনজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন