দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৯৬ জন। এ সময় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এ নিয়ে চলতি বছর মৃত্যু হলো ২০২ জনের। ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৮৭ জন বরিশালের, ৯৬ জন চট্টগ্রামের, ঢাকার ১৯৮ জন এবং রাজশাহীর ১৫ জন। গত বুধবার ৪৯০ রোগী শনাক্তের সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ২৫৬ জন পুরুষ ও ১৪০ জন নারী।
এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয় সেপ্টেম্বরে; মৃত্যুও ছিল সর্বোচ্চ। গেল মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়; মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। অক্টোবরের দুই দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৮৮৬ জন; আর মৃত্যু হলো চারজনের।
এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ এবং অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী ভর্তি হয়। জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিনজন, জুনে ১৯ জন ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। মার্চ মাসে কারও মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের ১০৮ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ২ হাজার ৩৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮০৪ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৫৩৯ জন।
দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ও মৃত্যুবরণ করেছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যায়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।