টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক সম্পদ অর্জনে নতুন ইতিহাস গড়েছেন। বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীর নিট সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ইতিহাসে এবারই প্রথম কারো নিট সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
ফোর্বস সাময়িকীর বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত ইলন মাস্কের নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৫০০ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার ১০ কোটি ডলার। মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ঊর্ধ্বগতি, স্পেসএক্সসহ অন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ইলন মাস্কের সম্পদের ঝুলি পূর্ণ করেছে।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন প্রায় ৩৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। গত মাসে ওরাকলের শেয়ার প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির পর কিছু সময়ের জন্য এলিসন মাস্ককে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেসলায় তার ১২ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি অংশীদারত্ব ছিল। চলতি বছর এখন পর্যন্ত টেসলার শেয়ারের দাম ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং গত বুধবার এটি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে গিয়ে বন্ধ হয়। ফলে মাস্কের নিট সম্পদে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি যোগ হয়েছে।
খুবই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে এ বছর শুরু হয়েছিল ইলন মাস্কের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে যোগ দেওয়া এবং এরপর নানা বিরোধে সেখান থেকে সরে আসার ঘটনা তার জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে তিনি টেসলার বিকাশে পূর্ণ মনোযোগ ফিরিয়ে আনেন, যা কোম্পানির শেয়ারে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়।
টেসলার বোর্ড চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোম গত মাসে জানান, হোয়াইট হাউসে কয়েক মাস কাটানোর পর মাস্ক এখন কোম্পানির সামনে ও কেন্দ্রে ফিরে এসেছেন। এর কিছু দিন পরই মাস্ক নিজেই প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের টেসলা শেয়ার কিনে নেন, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে ভবিষ্যতের প্রতি বড় আস্থার বার্তা দেয়।
তিনি আরও জানান, মাস্ক আগামী এক দশকে উচ্চাকাক্সক্ষী কিছু লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে তিনি এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ অর্জন করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে টেসলার বাজারমূল্য আটগুণ বাড়ানো, এক মিলিয়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত রোবট বিক্রি আরও ১২ মিলিয়ন টেসলা গাড়ি বিক্রি এবং আরও কয়েকটি লক্ষ্যপূরণ।
মাস্কের অন্য কোম্পানিগুলো তার সম্পদ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে। জুলাইয়ে এক্সএআইয়ের মূল্যায়ন ছিল ৭৫ বিলিয়ন ডলার। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন তহবিল সংগ্রহের পর এর মূল্য দাঁড়াতে পারে ২০০ বিলিয়ন ডলারে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, স্পেসএক্সের মূল্যায়ন হতে পারে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার।