ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫

হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে

দুর্নীতির তিন মামলায় ৯  ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১২:০৯ এএম

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তিনটি আলাদা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির ৯ কর্মকর্তা। মামলা তিনটিতে অভিযুক্তদের তালিকায় আরও আছেনÑ শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এর বিচারক রবিউল আলমের আদালতে আলাদা তিন মামলায় সাক্ষ্য দেনÑ সোনালী ব্যাংক পিএলসির গণভবন শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, সোনালী ব্যাংক পিএলসির গণভবন শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার শরিফুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংক পিএলসির গণভবন শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রিয়াদ মাহমুদ।

সাক্ষ্য শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন বলে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম নিশ্চিত করেন। উল্লিখিত তিনজনই তিনটি মামলায় আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষ্য দেওয়ার ফলে তিন মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ রেহানার বিরুদ্ধে গত ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় টিউলিপ, রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। মামলায় টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আরও দুই আসামিসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন আফনান জান্নাত কেয়া।

একই অভিযোগে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। মামলায় টিউলিপ, রিজওয়ানা ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।  তদন্ত শেষে ১০ মার্চ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এস এম রাশেদুল হাসান। গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।