ব্যক্তিগত গাড়িসহ অপহরণের শিকার হন জিয়াউল মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী। অপহরণকারীরা খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত জিয়াউলকে উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, পূর্বপরিচিত রাজা নামের এক ব্যক্তি জিয়াউলের কাছে ৪৮ লাখ টাকা পান। ওই টাকা ফিরে পেতে অপহরণের এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত জিয়াউল পরিবার নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকেন। উত্তরা এলাকায় তার ব্যাবসায়িক অফিস। তিনি ফায়ার সার্ভিসের সরঞ্জাম বিক্রির পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের কন্সালটেন্সির কাজ করেন। অর্থাৎ, বিভিন্ন ব্যক্তি বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতার কাজ করেন। কুড়িগ্রামের রাজা নামের এক ব্যক্তি জিয়াউলের কাছে ৫৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন। টাকা পরিশোধ না করায় রাজা জিয়াউল মাহমুদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী খিলক্ষেতের কিছু যুকককে রাজা ভাড়া করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জিয়াউলকে আটকে পাওনা টাকা আদায় করা। জিয়াউল তার অফিস থেকে খিলক্ষেতের স্পাইসি রেস্টুরেন্টের সামনে আসেন ব্যক্তিগত বা ব্যাবসায়িক কাজে। এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজার ভাড়া করা যুবকেরা জিয়াউলকে তুলে নিয়ে সাভারে চলে যান। এ ঘটনায় জিয়াউলের স্ত্রী তার স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অপহৃত জিয়াউলকে সাভার থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, জিয়াউল নামের ওই ব্যক্তিকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. ফারুক হোসেন, মাহবুব মুন্সি, অনিক, মো. জসিম, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মাহাদি সরকার রাকিব ও শিল্পী আক্তার ওরফে রানীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিয়াউল হকের গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা টাকার বিনিময়ে জিয়াউলকে অপহরণে জড়িয়েছেন। তবে তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।

