দেশের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত এক মাসে (নভেম্বর) ১৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার বিভিন্ন চোরাচালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চোরাচালানে যুক্ত ১৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা চোরাচালানের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত নভেম্বর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। এসব চোরাচালান পণ্যের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি পিস্তল, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২ কেজি ৩০০ গ্রাম গানপাউডার, তিনটি মাইন, ছয়টি ককটেল এবং ৯টি অন্যান্য অস্ত্র। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৯৩ গ্রাম হেরোইন, ৩ হাজার ৭১৪ বোতল ফেনসিডিল, ৭ হাজার ১৭৬ বোতল বিদেশি মদ। এ ছাড়া ২০৩ দশমিক ৯ লিটার বাংলা মদ, ৬০৮ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৫২৬ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫০ হাজার ৫৮৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৪৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ ইত্যাদি।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৯ জন চোরাচালানিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১৩৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও দুজন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে মিয়ানমারের ৪০৩ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

