চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ডলুখালের তীব্র ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে পাঁচটি পরিবার। ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাক হাজিপাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত ডলুখালের ধার ভেঙে প্রতিনিয়ত বসতভিটা গিলছে খাল। যেকোনো মুহূর্তে ঘরবাড়িগুলো খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে, এমন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙন এতটাই তীব্র, ঘরের চৌকি থেকে পা ফেললেই মাটি ধসে পড়ার আশঙ্কা। পরিবারগুলো দিনরাত ভাঙনের শব্দে আতঙ্কে ঘুমাতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৬০ বছর ধরে এখানে আছি। আমাদের খতিয়ানভুক্ত জমিও খালের ভাঙনে হারিয়ে গেছে। এখন বসতভিটাও পড়েছে ভাঙনের মুখে।’
বৃদ্ধা শামশুন্নাহার বলেন, ‘এর আগে আশপাশের অনেক ঘর খাল গিলে ফেলেছে। এখন আমাদের ঘরটাও ভাঙছে। আমরা গরিব মানুষ, মাথার গোঁজার ঠাঁই হারালে যাব কোথায়?’
আরেক বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘খালের এক পাশে পলিমাটি জমে ভরাট হচ্ছে, অন্য পাশে তীব্র ভাঙন। বিষয়টি অনেক পুরোনো হলেও কেউ দেখেনি। আমাদের মতো অসহায়দের ঘর ভেঙে গেলে ঠাঁই কোথাও থাকবে না।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনীস হায়দার বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানবিক দিক বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে লোহাগাড়া উপজেলার ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাউবোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই আতঙ্ক বাড়ে। তারা দ্রুত ডলুখাল ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :