সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে ‘জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫’ গঠন করেছে সরকার।
সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে রোববার (২৭ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৫ ধারার ক্ষমতাবলে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মজুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (শ্রমিক ব্যতীত) বর্তমান বেতন-ভাতা ও সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।
কমিশন নিম্নোক্ত বিষয়ে সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে
-সময়োপযোগী ও যৌক্তিক বেতন কাঠামো প্রণয়ন
-বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা বেতন কাঠামো
-বেতন-ভাতার ওপর আয়কর পরিশোধ কাঠামো নির্ধারণ
-বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, প্রেষণ ভাতা ইত্যাদি সুবিধা নিরূপণ
-মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নির্ধারণ
-সময়োপযোগী পেনশন ও অবসর সুবিধা
-কাজের মান মূল্যায়নের ভিত্তিতে বেতন কাঠামোতে প্রতিফলন
-টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ইত্যাদি সেবা সুবিধার নগদায়ন
-ইনক্রিমেন্ট বা উচ্চতর গ্রেডে অসংগতি থাকলে তা নিরসনে সুপারিশ
সুপারিশকালে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে
-কমিশন সুপারিশ প্রণয়নের সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে, তা হলো:
-একটি পরিবারের (পিতা-মাতা সহ ছয়জন) জীবনযাত্রার ব্যয়
-সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়
-দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সরকারের সম্পদের অবস্থা
-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়
-দারিদ্র্য নিরসন, দক্ষ জনবল নিয়োগ ও সেবার মানোন্নয়ন
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিশন প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে পর্যালোচনার ভিত্তিতে সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :