টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই-সখীপুর সড়কের বংশাই নদীর ওপর নির্মিত হাঁটুভাঙা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় হলেও টোল আদায় বন্ধ হয়নি। এই টোল বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ জনতা দুই দফা টোল প্লাজায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এরপরও সরকারিভাবে ইজারার মাধ্যমে টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।১৯৯৬ সালে স্থানীয়দের দাবির পর তৎকালীন সরকার প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে এবং ২০০১ সালে তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সরকারি হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৯ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে, যা নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে মির্জাপুর, সখীপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনার যানবাহন সেতুটি ব্যবহার করছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের দরপত্রে ‘এস কে ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন বছরের জন্য টোল আদায়ের ইজারা পায়। সরকার নির্ধারিত হারে ট্রেইলারের জন্য ১২৫ টাকা থেকে মোটরসাইকেলের জন্য ৫ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করা হচ্ছে।
স্থানীয় পরিবহনচালকেরা অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন টোল দেওয়ার কারণে তাদের আয় কমে যাচ্ছে। তারা বলছেন, দেশের বড় সেতুগুলোর মতো ব্যয় উঠে যাওয়ায় এ সেতুতেও টোল আদায় বন্ধ করা উচিত।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরি জানিয়েছেন, টোল বন্ধের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।