রেললাইন প্রায় ৭ ইঞ্চি ভাঙা ছিল। এ সময় দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল একটি ট্রেন। স্থানীয় লোকজন বিপদ আঁচ করতে পেরে লাল কাপড় ওড়ান। সেই কাপড় দেখে ট্রেনটি ভাঙা রেললাইনের আগেই থেমে যায়। দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এরপর এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে দিলে ট্রেনটি পার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আক্কেলপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর আপ ৭৩১ নম্বর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে জয়পুরহাট রেলস্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন রেলস্টেশনের কাছাকাছি স্থানে প্রায় ৭ ইঞ্চি রেললাইন ভাঙা দেখতে পান। তারা তাৎক্ষণিক রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে লাল কাপড় ধরেন। সংকেত পেয়ে লোকোমাস্টার ট্রেনটি থামান এবং দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যায় যাত্রীরা। এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভাঙা লাইনে চটের বস্তা গুঁজে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেনটি ভাঙা লাইন অতিক্রম করে। এ সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজু আহম্মেদ বলেন, আমরা কয়েকজন রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। জামালগঞ্জ স্টেশনের কাছাকাছি স্থানে রেললাইন ভাঙা দেখি। কিছুক্ষণ পর ট্রেন আসা দেখে আশপাশের লোকজন এসে তাৎক্ষণিকভাবে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে লাল কাপড় ধরেন। সংকেত পেয়ে ট্রেনটি ভাঙা রেললাইনের আগেই থেমে যায়।
ওই ট্রেনের যাত্রী সাইফুল আলম বলেন, আমি বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে শান্তাহার থেকে জয়পুরহাট যাচ্ছিলাম। জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছাকাছি স্থানে এসে হঠাৎ চলন্ত ট্রেনটি থেমে যায়। নিচে নেমে দেখি রেললাইন ভাঙা। ধীরে ধীরে ভাঙা রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রেনটি অনেক পরে পার হয়ে যায়।
আক্কেলপুর রেলস্টেশন মাস্টার রেহেনা পারভীন বলেন, সোমবার বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। পথে জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের উত্তর দিকে ৩০৯/০ নম্বর পিলারের কাছে প্রায় ৭ ইঞ্চি পরিমাণ রেললাইন ভাঙা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা লাল কাপড় ওড়ান। সংকেত পেয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে দেওয়া হয়। এরপর ট্রেনটি চলে যায়। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।