*** ভবনের অনেক স্থানে খসে পড়ছে পলেস্তারা
*** ফাঁটল ঢাকতে পুটিংও নতুন রং করছে ঠিকাদার
*** নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের
খুলনার পাইকগাছায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত দ্বিতল বিশিষ্ট গ্রামীণ বাজার ভবন হস্তান্তরের আগেই বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরেছে। ভবনের অনেক স্থানে খসে পড়ছে পলেস্তারা, যা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, দেশের গ্রামীণ হাটগুলো আধুনিক করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০২১ সালে ‘গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ (সিআরএমআইপি) শুরু হয়। পাইকগাছায় ২ কোটি ৯২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭৬.১৮ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ফাউন্ডেশনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় ভবনটি এখনো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদার দ্বিতীয় দফায় ফাঁটল পুটিংও খসে পড়া পলেস্তারা ঢাকতে নতুন রং দিয়েছেন, কিন্তু মূল ভবনের সব ফাঁটল এখনো মেরামত হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রীতে শম্ভুক গতিতে এর কাজ চালিয়ে যায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাই যথাসময়ে এর নির্মাণকাজ শেষ করতে না পারায় এর হস্তান্তর প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারেনি। যদিও চলতি বছর এর কাজ শেষ করলেও নির্মাণ তারিখ হিসেবে লিখে রেখেছে ২০২২ সাল।
ভবনটি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত সোমবার দুপুরে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নানজনীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েবসহ প্রতিনিধিদল মার্কেটটির পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় সাংবাদিকসহ জনপ্রতিনিধিরা এর নানা অসংগতির বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তবে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার বিশ্বাস দ্যর্থহীন কণ্ঠে জানান, ওসব ফাঁটল কোনো ব্যাপারই না, দেখতে হবে যে, ভবনের মূল কাঠামোর কোথাও ফাঁটল ধরেছে কি-না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফতেখারুল ইসলাম শামীম জানান, ভবনের বিভিন্ন অংশে সমস্যা পাওয়াই ভবনটি গ্রহণ করা হয়নি।