দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক ভারতকে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের শেষ ম্যাচে হার্মারের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয় ভারত। ম্যাচটি ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে সফরকারী প্রোটিয়ারা। এর আগে প্রথম টেস্টে ৩০ রানে জিতেছিল তারা। ২৫ বছর পর ভারতের মাঠে টেস্ট সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসল দক্ষিণ আফ্রিকানরা। এর আগে ২০০০ সালে অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের নেতৃত্বে এমন ফল পেয়েছিল দলটি। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে।
গুয়াহাটিতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে দ্বিতীয় সেশনেই ম্যাচের সমাপ্তি হয়েছে। কেশব মহারাজের বলে লং অন দিয়ে ওড়াতে গেলেন মোহাম্মদ সিরাজ, মার্কো ইয়ানসেন পেছন দিকে অনেকখানি ছুটে বাউন্ডারির লাইনে ছোঁ মেরে নিলেন অবিশ^াস্য ক্যাচ। ধারাভাষ্যকার দীপ দাশগুপ্ত বলে উঠলেন, ‘এই ক্যাচই বলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার গোটা সিরিজের উড়ন্ত ছবি।’ এই ক্যাচের বহু আগেই অবশ্য ভারতের পরিণতি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ ও সিরিজের ফল আগের দিন থেকে ছিল অনুমিত, ঘরের মাঠে বিব্রতকর তিক্ত বাস্তবতা এড়াতে পারেনি ভারত। প্রথম ইনিংসে ইয়ানসেনের তোপে উড়ে যাওয়া রিশভ পান্তরা দ্বিতীয় ইনিংসে কুপোকাত হয়েছেন সাইমন হার্মারের অফ স্পিনে। ৫৪৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে স্রেফ ১৪০ রানে। ৩৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এই ইনিংসের সফল বোলার হার্মার। যিনি কলকাতায় প্রথম টেস্টেও ছিলেন দলের নায়ক।
বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ পেয়েছেন ২ উইকেট। ইয়ানসেন ও সেনুরাম মুথুসামি নিয়েছেন একটি করে উইকেট। পুরো টেস্টে ফিল্ডিংয়েও অনন্য ছিল প্রোটিয়ারা, নিয়েছে অবিশ^াস্য সব ক্যাচ। এইডেন মার্করাম এক টেস্টে ৯ ক্যাচ নিয়ে গড়েছেন বিশ^ রেকর্ডও। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৮৯ রানের জবাবে মাত্র ২০১ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে পান্তদের ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইয়ানসেন। ভারতকে ফলোঅন না করিয়ে আবার ব্যাট করতে নেমে আরও ২৬০ রান যোগ করে ইনিংস ছেড়ে দেয় তারা। নাগালের বাইরে থাকা সমীকরণে দৃঢ়তা দেখাতে পারলে হার এড়াতে পারত স্বাগতিক দল। আগের দিন বিকেলে ২ উইকেট হারানো ভারতীয়রা শেষ দিনে নেমে আর কোনো নিবেদনই দেখাতে পারেনি। হার্মারের ঘূর্ণিতে একের পর ১ উইকেট পতনের মিছিল চলতে থাকে দলটির। টপ ও মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতার ভিড়ে ৮৭ বলে ৫৪ রান করে হারের ব্যবধান কেবল কমান রবীন্দ্র জাদেজা।

