বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সুজন মৃধা, কলাপাড়া

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

কলাপাড়ায় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে নৌকাবাইচ

সুজন মৃধা, কলাপাড়া

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

কলাপাড়ায় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে নৌকাবাইচ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে “এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই”  প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেগা ইভেন্ট “তারুণ্যের নৌকাবাইচ” শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চার টায় কলাপাড়া হেলিপ্যাড মাঠ সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের আমন্ত্রণে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অভিপ্রায় অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আন্ধারমানিক নদীতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী “তারুণ্যের নৌকাবাইচ” প্রতিযোগিতার এ আয়োজন করা হয়।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. রায়হান কাওছার বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) বরিশাল বিভাগ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম ডিআইজি, বরিশাল রেঞ্জ, মো. আনোয়ার জাহিদ পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ আন্ধারমানিক নদীর মাঝের খেয়া প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে আন্ধারমানিক নদী কলাপাড়া হেলিপ্যাড মাঠ প্রান্তে শেষ হয়।

এ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী “তারুণ্যের নৌকাবাইচ” প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ অংশগ্রহণ করে।

ওই সময় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কলাপাড়ার ইতিহাসে এই প্রথম বর্ণাঢ্য ওই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ হাজার হাজার উৎসুক জনতা নদীটির দুই পাড়ে, শেখ কামাল সেতুর উপর নৌকাবাইচ দেখতে ভিড় জমায়।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী “তারুণ্যের নৌকাবাইচ” প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক জনাব আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। সর্বশেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে মেগা ইভেন্ট “তারুণ্যের নৌকাবাইচ” প্রতিযোগিতার পরিসমাপ্তি ঘটে।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর এলাকা থেকে এ ১২টি নৌকা নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি নৌকার দৈর্ঘ্য ১৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৫২ ইঞ্চি করে। এর কোনটিতে ৬০ এবং কোনটিতে ৭০ থেকে ৮০ জন মাঝি মাল্লা রয়েছে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া এলাকার এক নৌকার মালিক রঞ্জিত বালা বলেন‍‍` এটা তাদের পৈত্রিক পেশা। এ ব্যবসার মূল মৌসুম বর্ষা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অপর এক নৌকার মালিক লাজারেজ ফলিয়া জানান, তিনি তার নৌকা নিয়ে পাঁচ, ছয় দিন আগেই রওয়ানা করেছেন। মাদারীপুর থেকে আসতে তাদের চারদিন সময় লাগছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, কলাপাড়ায় দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে এই নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মানুষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। আয়োজক কমিটির আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম নৌকাবাইচের সকল নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুুলিশ, মেডিকেল টিমসহ টহল জোরদার রেখেছে। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় লতাচাপলী ইউনিয়ন প্রথম, ধানখালী ইউনিয়ন দ্বিতীয় ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

আরবি/জেডআর

Link copied!